মালয়েশিয়ার ভিসা প্রসেসিং - ভিসা কিভাবে তৈরি করে
"আসসালামু আলাইকুম" সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আপনাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা মালয়েশিয়ায় ভিসা প্রসেসিং, ভিসা কিভাবে তৈরি করে, ভিসা কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি বিষয়ে অজানা। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জেনে নেয়া যাক এই সকল বিষয় সহ আরো অন্যান্য বিষয়ের বিস্তারিত।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই মানুষ আছে যারা কিনা ভিসা কিভাবে তৈরি করে বা করতে হয়, ভিসা কত প্রকার ও কি কি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন ইত্যাদি অনেক তথ্য সম্পর্কে অজানা। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা উপরোক্ত সকল তথ্য সঠিকভাবে বিস্তারিতরূপে জানানোর চেষ্টা করব "ইনশাআল্লাহ"। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি অনেক উপকৃত হবেন।
সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়ার ভিসা প্রসেসিং - ভিসা কিভাবে তৈরি করব
ভিসা কিভাবে করতে হয়
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানানো যে, ভিসা কিভাবে করতে হয়, ভিসা করতে কি কি লাগে ইত্যাদি নানা বিষয়ে। আপনারা যদি এই বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানাতে চলেছি ভিসা সম্পর্কে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন আশা করছি উপকৃত হবে।
প্রথমত, ভিসা করতে যে সকল তথ্য প্রয়োজন হয় তা সম্পূর্ণটা নির্ভর করে আপনি বর্তমানে কোন দেশের নাগরিক এবং আপনি কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক। এর মধ্যে আরো একটি অন্যতম কাজ হচ্ছে আপনি কোন ভিসাতে যেতে চাচ্ছেন ইত্যাদি নানা ধরনের তথ্যের উপর। সাধারণত যেকোন দেশে আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান তাহলে কিছু আবশ্যিক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে যেতে হয়। তা হতে পারে ভ্রমণ, পড়াশোনা কিংবা চাকরির সুবাদে। অতঃপর এই জন্যই ভিসা অনেক আবশ্যক। তবে আপনাদের জেনে নিতে হবে যে ভিসা কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে।
সাধারণত ভিসা করতে আমাদের যে সকল জিনিস প্রয়োজন হয়ে থাকে তা হল-
- একটি ভিসা আবেদনপত্র।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় মাস মেয়াদী।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ভিসার প্রমাণপত্র যেমনঃ মেডিকেল, ভিজিটর, ওয়ার্ক পারমিট এবং স্টুডেন্ট ভিসা সহ ধরনের ভিসা।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ বা এনআইডি কার্ড।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণপত্র
এই সকল বিষয়ের সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আপনারা ভিসার আবেদন করতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনকারীর জাতীয়তা, ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ভিসার ধরনের ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে জায়গা বা দেশ পরিবর্তন হতে পারা সাভাবিক।
তবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে কোম্পানি চুক্তিপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে, মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই মেডিকেলের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে আগের কোন দেশে ভ্রমণের ইতিহাস জানাতে হবে তবে না জানালেও সমস্যা নেই এবং স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে স্টুডেন্টের সার্টিফিকেট এবং সকল ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ভিসা প্রসেসিং বলতে কি বুঝায়
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ভিসা প্রসেসিং বলতে কি বুঝায় এ সম্পর্কে জানেনা। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্কে সকল তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব "ইনশাআল্লাহ"।
একটি দেশ থেকে অন্য আরেকটি দেশে ভ্রমণ বা যাওয়ার জন্য ভিসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিসা ছাড়া কোন মানুষ এক দেশ থেকে অন্য এক দেশে যেতে পারে না বা সেই দেশে প্রবেশ করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি সেই দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে ভিসার কোন প্রয়োজন হবে না।
সব দেশের ভিসা প্রসেসিং অনেক অংশে একই রকম হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু দেশ রয়েছে তাদের ভিসা প্রসেসিং একটু ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইউরোপের ভিসা প্রসেসিং অনেক জটিল এবং কঠিন হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি মধ্যপ্রাচীরের দেশগুলোতে যান তাহলে এই ধরনের সমস্যা আপনাকে ফেস করতে হবে না। এদের ভিসা প্রসেসিং অনেক সহজ হয়ে থাকে।
সাধারণত আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের সম্পূর্ণ ভিসা প্রসেসিং ওই দেশের এমব্যাসিই উপর নির্ভর করে থাকে। এর মধ্যে যদি কোন দেশের সাথে কোন দেশের সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো হয়ে থাকে তাহলে, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একত্রে বসে চুক্তি করে ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সহজ করে ফেলা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে আমরা ধরে নিতে পারি ভারত এবং বাংলাদেশকে। ভারত এবং বাংলাদেশ চুক্তি করার ফলে ভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং অনেকটা সহজলভ্য করে দেয়া হয়েছে।
ভিসা কত প্রকার ও কি কি
আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তো জানে না যে ভিসা কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পূরণ "ইনশাআল্লাহ" উপকৃত হবেন।
বর্তমানে ভিসা সাধারণত বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ভিসার নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। সেগুলো হলো-
- স্টুডেন্ট ভিসা
- এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- প্রবেশ/"X" ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- চিকিৎসা ভিসা
- মেডিকেল ভিসা।
ইত্যাদি আরো নানা ধরনের ভিসা রয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু ভিসা রয়েছে যেগুলো পাওয়া অনেক সহজলভ্য এবং কিছু কিছু ভিসা রয়েছে যেগুলো পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ সকল বিষের মধ্যে একটি ভিসা হল-"স্টুডেন্ট ভিসা"।
ভিসা প্রসেসিং করতে কত দিন লাগে
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে এই সম্পর্কে জানে না। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব "ইনশাআল্লাহ"। আসুন তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক-
বর্তমানে ভিসা প্রসেসিং আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের এব্যাসির উপর নির্ভর করে থাকে। তবে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ধরনের সময়সীমা বা টাইমটেবিল নেই। তবে এই ক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সর্বনিম্ন ৭ থেকে ৮ কর্মদিবস বা ( ২১-৩০) দিন সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে।
তবে আপনারা যদি নির্দিষ্ট ধরনের ভিসা ইস্যু করার জন্য এব্যাসির কাছে ভিসা দিয়ে থাকে তাহলে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে, এবং এক্ষেত্রে আরেকটু বেশি সময় লাগতে পারে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা এজেন্সি
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফি, হোটেল ভাড়া এবং বিমান বা এরোপ্লেন ভাড়া সহ যাবতীয় খরচ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মদ্ধে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বর্তমানে বা পরবর্তীতে টুরিস্ট ভিসার আবেদন সময় এবং টুরিস্ট ভিসার ধরন মালয়েশিয়ার এব্যাসির উপর নির্ভর করে টুরিস্ট ভিসার সময় এবং দাম কমতি এবং বাড়তি করা হয়ে থাকে।
তবে বর্তমানে মালেশিয়ার টুরিস্ট ভিসার এজেন্সির উপর ভিত্তি করে এর আবেদন ফ্রি ৫০০০ টাকা হাজার থেকে ১০০০০ টাকা করা হয়েছে। অতঃপর, আবেদন করার পর বিভিন্ন ধরনের আনুশাঙ্গিক খরচ দিয়ে মালয়েশিয়ার মোট টুরিস্ট ভিসার দাম ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে।মালয়েশিয়া ওয়ার্কার ভিসা এজেন্সি
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ওয়ার্কার ভিসার আবেদন ফি, হোটেল ভাড়া বা রুম ভাড়া এবং বিমান ভাড়া সহ যাবতীয় খরচ ৫০০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যায় সরকারি ভাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে বা পরবর্তীতে ওয়ার্কার ভিসার আবেদনের সময় এবং ওয়ার্কার ভিসার ধরন মালয়েশিয়ার এব্যাসির উপর নির্ভর করে টুরিস্ট ভিসার সময় এবং দাম কমতি এবং বাড়তি করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার ওয়ার্কার ভিসার এজেন্সির উপর ভিত্তি করে এর আবেদন ফ্রি ৫৫০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা করা হয়েছে। অতঃপর, আবেদন করার পর বিভিন্ন ধরনের আনুশাঙ্গিক খরচ দিয়ে মালয়েশিয়ার মোট ওয়ার্কার ভিসার দাম এক লক্ষ টাকা থেকে ডের লক্ষ টাকা হয়ে থাকে সরকারি বা আইনতভাবে।
ভিসা নাম্বার চেক পদ্ধতি
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেনা যে ভিসার নাম্বার কিভাবে চেক করতে হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য তুলে ধরেছি। তাহলে আসুন এবার সেই তথ্যগুলো জেনে নেয়া যাক-
আপনি যদি ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা মঞ্জুরী বিজ্ঞপ্তি পত্রে আপনার ভিসার নাম্বার পাবেন, যা আপনি জিমেইল বা ইমেইলের মাধ্যমে পূর্বে পেয়েছেন।
আপনার ফর্মইর বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা নাম্বারটি এমন একটি ভিসার সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে যা আপনার এই নাম্বার অন্য কোথাও প্রভাবিত হবে না। অতঃপর আপনি যখন আপনার ভিসার অনুদান নাম্বার ব্যবহার করবেন তখন আপনি আপনার ভিসার সকল বিবরণ কালেক্ট করতে সক্ষম হবেন।
প্রয়োজনীয় কথাঃ আপনার ভিসার অনুদান নম্বর কালেক্ট করার জন্য বা রেফারেন্স নম্বর ফরমের জন্য VEVO-কে অনুরোধ জানান।
ভিসার করতে কত টাকা প্রয়োজন হয় ২০২৪
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেনা যে বর্তমানে কোন দেশে ভিসা করতে কতটা খরচ হয়ে থাকে। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে ভিসা করতে যতটা খরচ হয়েছে উল্লেখ করা হলো-
HTML Table
ক্রমিক নং | দেশের নাম | ওয়ার্ক পারমিট ভিসার টাকা |
---|---|---|
১ | ভারত | ১,৩০০-১,৫০০ |
২ | সৌদি আরব | ৫০,০০০-৬০,০০০ |
৩ | ইতালি | ০৮ থেকে ১০ লক্ষ |
৪ | কালাডা | ৫ থেকে ৬ লক্ষ |
৫ | চিন | ৩০০০-৫০০০ |
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি যে, ভিসা কিভাবে করতে হয়, ভিসা কত প্রকার ও কি কি, মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসা এজেন্সি, মালয়েশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এজেন্সি, ভিসার নাম্বার চেক পদ্ধতি এবং ভিসা করতে কত টাকা প্রয়োজন হয় ২০২৪ ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে।
এই পোস্ট বা আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে, এই আর্টিকেলটি অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিন। তারা যেন এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
"আসসালামু আলাইকুম"
""ধন্যবাদ""
পয়েন্টার ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url