কম দামে সেরা ১৭ টি স্মার্ট টিভি কম দামি টিভি
"আসসালামু আলাইকুম" কম দামের সেরা স্মার্ট টিভি কেনার আগে করনীয়। কম দামের সেরা ২০ টি স্মার্ট টিভি কেনার আগে অবশ্যই আমাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। কারন আমাদের সবার বাড়িতেই ছোট-বড় স্মার্ট টিভি রয়েছে বা টিভি রয়েছে। এখন আপনি যদি কম দামের সেরা স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরী।
আপনি যদি কম দামে স্মার্ট টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে স্মার্ট টিভি কেনার আগে করনীয় কি? বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। আশা করছি কম দামের মধ্যে একটি ভালো স্মার্ট টিভি কিনে আনতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ কম দামে সেরা ২০ টি স্মার্ট টিভি - কম দামে টিভি
স্মার্ট টিভি কেনার আগে করনীয়
স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে সকল বিষয়বস্তু জানা আমাদের জরুরী। বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়াতে স্মার্ট টিভি গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি কম দামি স্মার্ট টিভি সম্পর্কে কোন ধারণা না রাখে টিভি কিনতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে স্মার্ট টিভি কিনুন।" ইনশাআল্লাহ" উপকৃত হবেন।
- স্মার্ট টিভির সাইজ।
- টিভি কেনার বাজেট।
- টিভির রেজুলেশন
- টিকিট ডাইনামিক রেঞ্জ।
- টিভির ডিসপ্লে প্রযুক্তি।
- টিভির কানেক্টিভিটি।
- টিভির অডিও কোয়ালিটি।
- টিভির ব্রান্ড কোয়ালিটি সিলেকশন।
- টিভির ওয়ারেন্টি এবং গ্যারান্টি।
স্মার্ট টিভির সাইজ -- আপনার রুমের সাইজের উপর টিভির সাইজ নির্ধারণ করে থাকে। রুমের গড় সাইজের চাইতে যদি বড় টিভি নেওয়া হয় তাহলে রুমের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। যেন রুমের সৌন্দর্য না হারায় এজন্য আমাদেরকে টিভির সাইজ দেখে কেনা উচিত।
টিভি কেনার বাজেট -- প্রথমত টিভি কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করে নিতে হবে। সাধারণত আপনার বাজেট যেমনটি থাকবে আপনি সেই দাম অনুযায়ী টিভি কিনতে পারবেন। তাই এই বাজেটের বিষয়টি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখা জরুরী।
টিভির রেজুলেশন -- আপনি যদি টিভিতে নানা ধরনের ছবি দেখতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনাকে ভালো রেজুলেশন যুক্ত টিভি ক্রয় করতে হবে। এক্ষেত্রে যত বেশি পিক্সেলের টিভি আপনি ক্রয় করতে পারবেন ছবি তত পরিমাণ ভালো দেখা যাবে। আপনি যদি স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে আপনার এ সকল বিষয়গুলো জানা অতীব জরুরী। কিছু কম দামের মধ্যে ভালো রেজুলেশনের টিভিগুলো নাম নিচে দেয়া থাকবে।
টিভির ডাইনামিক রেঞ্জ -- আপনার স্মার্ট টিভির ডাইনামিক রেঞ্জ কত? এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে টিভি কিনা উচিত। কারণ বর্তমান বাজারে এসডিআর এমন একটি প্রযুক্তি যা একটি টিভির ভিডিওকে আরো বাস্তবমুখী করে তুলতে সক্ষম হয়। আবার এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত হাই ডাইনামিক যুক্ত টিভি কেনা একদমই উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত হাইডায়নামিক যুক্ত টিভি গুলো চোখের ক্ষতি করে থাকে।
টিভির ডিসপ্লে প্রযুক্তি -- যেকোনো ইলেকট্রিক ডিভাইসের অবশ্যই ডিসপ্লে ভালো ভাবে দেখে কেনা উচিত। সেটা হোক না কেন মোবাইল, টেলিভিশন অথবা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। কম দামি স্মার্ট টিভিতে কেমন ভিডিও এটা নির্ভর করবে টিভির ডিসপ্লে প্রযুক্তির উপর। তাই অবশ্যই কম দামের মধ্যে ভালো মানের ডিসপ্লে প্রযুক্তি সম্পূর্ণ টিভি কেনা উচিত। এলইডি অথবা এলসিডি যুক্ত টিভি গুলো সাধারণভাবেই ডিসপ্লের দিক থেকে বেশ অনেকটাই ভালো। এবং এর মূল্য ও সাশ্রয় হয়ে থাকে।
টিভি কানেক্টিভিটি -- আপনি যত ভালো স্মার্ট টিভি কিনছেন তখন আপনাকে অবশ্যই টিভির সংযোগ দেওয়ার পর ভালো হবে দেখে কিনা। সাধারণত স্মার্ট টিভি গুলি যখন চালাবেন তখন যেন এটিকে গেমিং ডিভাইস হিসেবে চালানো যায় এবং পরিবর্তন করে আবার যেন টিভিতে রূপান্তর করা যায় এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
টিভির অডিও কোয়ালিটি -- আপনি যখন স্মার্ট টিভি ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই অডিও কোয়ালিটি চেক করে কেনা উচিত। ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি না হলে টিভিতে কোন খবর বা অনুষ্ঠান দেখার সময় শব্দ ভালোভাবে শোনা যাবে না, সাউন্ড কোয়ালিটি শুনতে বা অডিও কোয়ালিটি শুনতে ওয়ার্ড লাগবে। তাই টিভির অডিও কোয়ালিটি বা সাউন্ড কোয়ালিটি চেক করে কেনা উচিত।
টিভির ব্র্যান্ড কোয়ালিটি সিলেকশন -- যেকোন দেশে অনেকগুলো ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি পাওয়া গিয়ে থাকে। এর মধ্যে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে যারা ভালো মানের টিভি তৈরি করে থাকে। তাই আপনার সেই সকল ব্রান্ড বাছাই করে টিভি কিনা উচিত হবে।
টিভির ওয়ারেন্টি এবং গ্যারান্টি -- টিভি কেনার সময় আপনাকে অবশ্যই দোকানদারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে যে, আপনি যে কোম্পানির টিভিটি কিনবেন ওই কোম্পানির ওই টিভির উপর গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি আছে কি না। সাধারণত টিভিগুলোতে এক থেকে দুই বছর ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। তবে আপনি যদি ভাল মান্য স্মার্ট টিভি কিনেন তাহলে সেগুলোতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সার্ভিস ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। এ বিষয়টি দোকানদারের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালো।
স্মার্ট টিভিতে কি কি করা গিয়ে থাকে
স্মার্ট টিভিতে কি কি কাজ করা গিয়ে থাকে তা হয়তো আপনাদের মধ্যে অনেকে জানেন না। তাই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে স্মার্ট টিভিতে কি কি কাজ করা যায় সে সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি-
স্মার্ট টিভিতে যে সকল কাজ করা গিয়ে থাকে তা হল-
- স্মার্ট টিভির মাধ্যমে আমরা প্লেস্টোর থেকে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করে বা ইন্সটল করে টিভির মধ্যে অ্যাপটি কে ওপেন করতে পারি।
- এই টিভিতে হেডফোন জ্যাক এবং ব্লুটুথ কানেকশন রয়েছে।
- এই টিভিতে ওয়াইফাই সেটাপ থাকে।ব
- টিভিতে ওয়াইফাই সেটা থাকার কারণে ইউটিউব সহ নানা ওয়েব ব্রাউজার ইত্যাদি নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
- এই টিভিতে নানা ধরনের ফাইল আপলোড করা গিয়ে থাকে। ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে এই স্মার্ট টিভির মাধ্যমে।
কম দামি স্মার্ট টিভি এবং বেশি দামি স্মার্ট টিভির মধ্যে পার্থক্য
আপনারা হয়তো অনেকে জানেন না যে, কম দামি স্মার্ট টিভি এবং বেশি দামে স্মার্ট টিভির মধ্যে পার্থক্য, এবং কোনটি ভাল এবং কোনটি খারাপ এই সম্পর্কে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, কম দামি স্মার্ট টিভি ভালো নাকি বেশি দামি স্মার্ট টিভি গুলি ভালো। আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক-
কম দামি স্মার্ট টিভি -- কম দামি স্মার্ট টিভি গুলো অনেকটা ভালো হয়ে থাকে না। কারণ কম দামি টিভি গুলোর মধ্যে সব ধরনের সব ফিউচার দেয়া হয় না। এইজন্য এই সকল টিভি গুলোতে গেমিং সেটআপ করা যায় না, এবং পরবর্তীতে টিভিতে রূপান্তর করা যায় না। এবং এদের সাউন্ড কোয়ালিটি এবং ডিসপ্লে কলটি অতটা ভালো হয় না। তার সঙ্গে চোখের সমস্যা তো হয়ে থাকে। এই কারণে কম দামে টিভি না কেনায় ভালো। তবে কিছু কিছু ভালো টিভিও রয়েছে।
বেশি দামি স্মার্ট টিভি -- বেশি দামি স্মার্ট টিভি গুলো অনেকটা ভালো হয়ে থাকে। কারণ বেশি দামি টিভি গুলোর মধ্যে সব ধরনের সব ফিউচার দিয়া থাকে। এজন্য এ সকল টিভি গুলো তো গেমিং সেটআপ করা যায় এবং সময় সাপেক্ষে পরবর্তীতে আবার টিভিতে রুপান্তর করা যায়। এবং এদের সাউন্ড কোয়ালিটি এবং ডিসপ্লে কোয়ালিটি অনেকটা ভালো হয়ে থাকে। এবং তার সঙ্গে চোখের কোনরকম ক্ষতি হয়ে থাকে না। এ কারণে বেশি দামি বা মিডিও বাজেটের টিভি গুলো কেনা উচিত।
তাই আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী যদি আপনি স্মার্ট টিভি নিতে চান তাহলে, মিডিয়াম বাজেট বা একটু বেশি বাজেট টিভি গুলো নেয়া আপনার জন্য অনেক ভালো হয়ে থাকবে।
কম দামে সেরা ১৭ টি স্মার্ট টিভি
আপনারা হয়তো অনেকেই চান যে, কম দামের মধ্যে একটি ভালো স্মার্ট টিভি হলে অনেকটা ভালো হতো। এর জন্য আমরাই আর্টিকেলটিতে কম দামের সেরা .২০ টি স্মার্ট টিভি সম্পর্কে জানিয়েছি। আসুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কম দামের মধ্যে সেরা .২০ টি স্মার্ট টিভি কি কি-
টিভির তালিকায় সর্বপ্রথম আমাদের পছন্দের টিভির মধ্যে রয়েছে-
ভিউওয়ান ফুল এলইডি এলসিডি টিভি -- কম দামের মধ্যে এই স্মার্ট টিভিটি অনেক ভালো হয়ে থাকবে। এটি একটি চায়না ব্রান্ড টিভি। কম দামে ভালো ভিডিওর মধ্যে আমাদের ভিউওয়ান টিভিটি অনেক ভালো। এই টিভির ২৪ ইঞ্চি ফুল এলইডি ইউ এস বি ক্যাবল রয়েছে। বর্তমান বাজারে এই টিভির মূল্য ৭,০০০ - ৮,০০০ টাকা। এই টিভির মধ্যে রয়েছে হাইডায়নামিক রেঞ্জের ব্রাইটনেস বা আলো এবং বিল্ড ইন স্পিকার সাউন্ড কোয়ালিটি যা আপনার প্রাণের কোন ধরনের ক্ষতি করবে না। এর মধ্যে আরও রয়েছে ১০৮০ পিক্সেলের রেজুলেশন ছবি কোয়ালিটি। ছয় মিটারের রেঞ্জ টাইম এবং ভিজিএ। এর মধ্যে আরও একটা অবাক করার বিষয় হলো স্মার্ট টিভিটিতে ১৮০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল পর্যন্ত যাবে।
অলিভ বর্ডালেস ভয়েস কন্ট্রোল এলইডি টিভি -- যাদের বাজে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে তাদের জন্য আরেকটি চায়না টিভি হল- অলি বর্ডালেস ভয়েস কন্ট্রোল এলইডি টিভি। এ টিভি ৩২ ইঞ্চির এলইডি টিভি। এই টিভির মধ্যে রয়েছে ৩২ ইঞ্চি ১০৮০ পিকজেলের রেজুলেশন ডিসপ্লে প্রযুক্তি, ইউ এস বি পোর্ট এবং এইচডিএমএল কানেক্টিভিটি। এর মধ্যে আরো রয়েছে ১ জিবি রেম এবং ৮ জিবি রম। এবং আরও রয়েছে ভয়েস ওভার কন্ট্রোল ফিউচার। এই টিভির মধ্যে হেডফোন জ্যাক থাকার কারণে যে কোন মুভি এবং অনুষ্ঠান হেডফোন দিয়েও উপভোগ করা যায়। এছাড়াও এরমধ্যে ফাইল ফরমেট করা এবং ফাইল তৈরি করা যেকোনো ছবি ক্লিন রেজুলেশন প্রদর্শন করে থাকে, যা অনেক আশ্চর্যের বিষয়।
স্যামসাং স্মার্ট টিভি -- samsung একটি ভালো। এই ব্র্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম দামের মধ্যে একটি এলইডি টিভি রয়েছে তা হল ( samsung N4010 )। আপনার বাজেট যদি ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকার হয়ে থাকে তাহলে এই টিভিটি নিয়ে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। এই টিভিটিতে ভালো মানের ক্লিন পিকচার কোয়ালিটির সাথে ফুল এইচডি সাপোর্ট রেজুলেশন রয়েছে। এটিভিতে 1366×768 পিকচার রেজুলেশন রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে 3D টেকনোলজি, 5 মিনিট রেঞ্জ টাইম এবং এনালক টাইম সিস্টেম বা টাইমার, ১০ ওয়াটের আউটপুট স্পিকার কোয়ালিটি, এসি ২০০ - ২৪০ ভোল্টের হাই স্পিড পাওয়ার রেজুলেশন। এর মধ্যে আরও একটি ফিউচার হলো এই ৩২ ইঞ্চি টিভিটি যে কোন জায়গায় খুব সহজেই ফিট হয়ে যায়।
JVCO DE2LSM অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি -- এই টিভিতে সাধারণত স্মার্ট ভয়েস কন্ট্রোল রয়েছে। এই টিভির মধ্যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের এন্ড্রয়েড দেয়া আছে। এই টিভি ডিসপ্লে ৩২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এর জন্য এই টিভিতে যেকোনো ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অ্যাপ চালু করা সম্ভব হয়। এর মধ্যে আরও রয়েছে স্ক্রিন শেয়ারের মত অনেক ভালো ফিউচার। এই টিভি ব্যবহার করি যে কোন স্মার্ট ফোন দিয়ে টিভিটিতে স্ক্রিন শেয়ার করা যায়। এই টিভির মধ্যে যেকোনো কিছু দেখতে এবং গেম খেলতে পারেন। এই টিভির মূল ফিউচারে রয়েছে দুই জিবি রেম এবং ১৬ জিবি রোম এবং কেবল সাপোর্ট ও ওয়াইফাই সাপোর্ট।
স্যামসাং T4500 এলইডি টিভি -- samsung ব্র্যান্ডের T4500 এই টিভিটিতে পূর্বের ফিউচার ছাড়াও বিশেষ কিছু ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছে অটো চ্যানেল সার্চ, IPv6 সাপোর্ট, গেমিং মুড, ইকো সেন্টার 220-240V এসি বিদ্যুৎ সাপ্লাই সংযোগ। এছাড়াও অপশন তো থাকছেই কানেক্ট অপশন হিসেবে টিভিটিতে 10W+10W সাউন্ড আউটপুট ডবল ডিজিটাল প্লাস এবং ডবলী প্লাস এর মত সুবিধা রয়েছে। এই মডেলটি সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় জিনিসটি হচ্ছে এর প্রসেসর। এ টিভিতে আপনি প্রসেসর হিসেবে পাচ্ছেন কোয়াড কোর প্রসেসর। এর জন্য এই টিভিটি হবে অন্য টিভি থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। এই টিভির বর্তমান বাজার মূল্য ২৫,০০০-২৬,০০০ টাকা।
সনি ব্রাভিয়া W600D Wi-Fi এইচডি টিভি -- এই টিভির মধ্যে উন্নত মানের প্রযুক্তিযুক্ত থাকার কারণে এই টিভির দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়ে থাকে। অল্প বাজেটের মধ্যে সনির W600D 32 ইঞ্চিটিকে কিনতে পারেন যার মধ্যে সব ধরনের ওয়াইফাই সেটাপ থাকবে। এর বর্তমান বাজার মূল্য ২৬,০০০-২৬,৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এই টিভির মধ্যে 5 ওয়ার্ড + 5 ওয়ার্ড অডিও পাওয়ার আউটপুট রয়েছে। যা কানের জন্য অনেক আরামদায়ক।
শাওমি 4A স্মার্ট টিভি -- আধুনিক ইলেকট্রনিক্স জগতে শাওমি একটি অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এই ব্রান্ড অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের পাশাপাশি বাজারে অত্যাধিক প্রযুক্তির স্মার্ট টিভি ও লঞ্চ করেছে এর মধ্যে একটি হলো শাওমি 4A স্মার্ট টিভি। এই টিভিটিতে ৪০ ইঞ্চি ফুল এলইডি প্লাস ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আরও রয়েছে 178 ডিগ্রী কোন দেখার সুযোগ। এই টিভির মধ্যে ১ জিবি ডিডিআর রেম ৮ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এই এন্ড্রয়েড টিভিতে পাবেন ১.৫গিগাহার্জ CORTEX-A53 65 - বিট কোয়াড-কোর প্রসেসর। এবং এর মধ্যে আর রয়েছে পিএনজি, গিফ, জেপিজি ইমেজ এবংDTS-HD অডিও ডিকোডার ইত্যাদি আরও অনেক কিছু থাকছে।
শাওমি 4S 43 Inch 4K HDR এলইডি টিভি-- যাদের ছোট ডিসপ্লে টিভি পছন্দ না তাদের জন্য মিডিয়াম ডিসপ্লের মধ্যে শাওমি নিয়ে এসেছে 4S 43 Inch টিভিটি হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ। এ টিভির বর্তমান প্রাইস ৩৪ হাজার টাকা। শাওমির টিভির মধ্যে রয়েছে এন্ড্রয়েড ৯.০ ভার্সন এবং ২ জিবি র্যাম, ৮ জিবি রম। আরো রয়েছে ১০০ মিটার রেঞ্জ, ৬৪ বিট কোয়াড-কোর প্রসেসর। পিকচার বাস ছবি কোয়ালিটির দিক থেকে পাবেন 3840 x 2160 হাই এইচডি রেজুলেশন এবং চার ধরনের কন্ট্রোল প্যানেল সিস্টেম, ব্লুটুথ ৪.২ কিবোর্ড স্পিকার রিমোট কন্ট্রোল গেমপ্যাড। DVB-T2/C সাপোর্ট সিস্টেম এর সুবিধা।
স্যামসাং AU7700 ক্রিস্টাল 4K স্মার্ট টিভি -- samsung এর এই টিভির মধ্যে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া থাকে। এর মধ্যে গুগল প্লে স্টোরের সকল অ্যাপ ফিউচার ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। এই টিভি ডিসপ্লে ৪৩ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এই টিভির মধ্যে রয়েছে স্মার্ট অ্যাপ, ট্রিপঅল প্রটেকশন, অটো টপ স্পিড কানেক্ট। এর মধ্যে আরও রয়েছে মাল্টি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাংশন। টিভির ডিসপ্লে রেজুলেশন 3840 x 2160 পিক্সেল যেখানে, ৪কে রেজুলেশন এর ভিডিও সাপোর্ট করে থাকে। এই টিভিতে কাঁচের মতো স্বচ্ছ বাস্তবিক চিত্র উপভোগ করতে সাহায্য করে থাকে।
এলজি NanoCell TV -- এই টিভির ডিসপ্লে সাধারণত ৪৩ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এই টিভি সাধারণত অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই টিভির মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অ্যালেক্সার মত এন্টিগ্রেটেড ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ব্যবহার। এই টিভি ব্যবহার করে সহজে যেকোনো ডিভাইসকে কানেক্ট করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে থাকে। এই টিভির বর্তমান প্রাইস ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৫৬ হাজার টাকা।
Hisense 43A4F4 স্মার্ট টিভি -- এই টিভি ডিসপ্লে সাধারনত ৪৩ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এটি একটি বাংলাদেশী পণ্য। অল্প বাজেটের মধ্যে এই টিভিটি অনেক ভালো। এই টিভির মধ্যে রয়েছে ৫০ মিটার রেঞ্জ, ফুল এইচডি ডিসপ্লে যার কালার কম্বিনেশন অনেক ভালো। এবং এর সাউন্ড কোয়ালিটিও অনেক ভালো। কোন ধরনের কানের সমস্যা হয় না। এই টিভিটির বর্তমানে বাজার মূল্য ২৭ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।
Haier H50P7UX স্মার্ট টিভি -- এই টিভি ডিসপ্লে সাধারণত ৫০ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এই টিভি অফিস আদালত, ব্যবসা এবং বাসা বাড়িতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে এসিস্ট্যান্ট এবং অ্যালেক্সার মত এন্টিগ্রেটেড ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ব্যবহার। এই টিভি যেকোনো ডিভাইসের সঙ্গে খুব সহজেই কানেক্ট হয়ে যায়। এই টিভির মধ্যে ৪ কে গুগল ভিডিও খুব সহজেই দেখা যায়। টিভির ডিসপ্লে রেজুলেশন 3840 x 2160 পিক্সেল। এবং আরও অন্যান্য ধরনের ফিউচার রয়েছে। বর্তমানে এর বাজার মূল্য ৪৬ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।
Sky View FHDSP32G স্মার্ট টিভি -- কম দামের মধ্যে এই স্মার্ট টিভিতে অনেক ভালো হয়ে থাকবে। এটি একটি বাইরের দেশের পণ্য। কম দামে ভালো টিভির মধ্যে এই টিভিটি অনেক ভালো। এই টিভিটিতে রয়েছে ৩২ ইঞ্চি ফুল এলইডি প্লাস ডিসপ্লে। এই টিভির মধ্যে রয়েছে হাইডায়নামিক রেঞ্জের ব্রাইটনেস বা আলো এবং বিল্ড ইন স্পিকার সাউন্ড কোয়ালিটি যা আপনার প্রাণের কোন ধরনের ক্ষতি করবে না এ টিভির বর্তমান প্রাইস বাংলাদেশে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
Nova NV3239 G-SB VR স্মার্ট টিভি -- এই টিভির ডিসপ্লে কোয়ালিটি ৩২ ইঞ্চি হয়। এই টিভির ডিসপ্লের মধ্যে 3840 x 2160 এইচডি রেজুলেশন। এই টিভির মধ্যে আরো রয়েছে ২ জিবি রেম এবং ১৬ জিবি রম। এটি একটি ফুল এইচডি এন্ড্রয়েড টিভি। এর বর্তমান বাজার মূল্য 15 থেকে 28 হাজার টাকা।
Vision P10 Prime স্মার্ট টিভি -- এই টিভির ডিসপ্লে কোয়ালিটি ৩২ ইঞ্চি হয়। এই ডিসপ্লের মধ্যে 3840 x 2160 এলইডি রেজুলেশন রয়েছে। এই টিভির ডিসপ্লের কালার কম্বিনেশন অনেক ভালো এবং সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়ে থাকে। ইত্যাদি আরও নানা ধরনের ফিচার রয়েছে। এই টিভির বর্তমান বাংলাদেশে মূল্য ১২০০০ থেকে ২০০০০ টাকা।
Vision N10S Android Smart Infinity LED TV -- এই টিভির মধ্যে যে সকল ফিচার রয়েছে সে সকল ফিচার অন্য সকল টিভির মধ্যে দেয়া থাকে না। এই টিভির ডিসপ্লেতে ৩২ ইঞ্চির মত বড় ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এই টিভির মধ্যে গুগল প্লেস্টোরের সকল অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এই টিভির মধ্যে ২.৪ এম এম এর হেডফোন জ্যাক রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি হেডফোন দিয়ে নানা ধরনের মুভি, গান, আনুষ্ঠানিক সংগীত ইত্যাদি শোনা যায়। এই টিভির বর্তমান বাজার মূল্য ২৭000 টাকা থেকে ২৭৫০০ টাকা হয়েই থাকে। এই টিভির মধ্যে এলইডি প্যানেলের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।
Hisense 32A4F4 Bezelless Smart Android HD TV -- এই টিভির ডিসপ্লের মধ্যে স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড এইচডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এই টিভির মিনিমাম ডিসপ্লে সাইজ ৩২ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এর ডিসপ্লে কালার কম্বিনেশন অনেক ভালো এবং সাউন্ড কোয়ালিটিও অনেক ভালো হয়ে থাকে। যা কানের মধ্যে কোনরকম সমস্যার সৃষ্টি করে না। এই টিভির বর্তমান বাজার মূল্য ২৮০০০ টাকা থেকে ৩০০০০ টাকা হয়ে থাকে। এই টিভির ডিসপ্লে ছোট হওয়ার কারণে ঘরের যে কোন জায়গায় সহজেই ফিট করা যায় বা রাখা যায়।
স্মার্ট ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য
আপনারা হয়তো জানেন না যে স্মার্ট ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য কি? কোন টিভিটি সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে। এ সকল বিষয় হয়তো বা আপনাদের অজানা। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানানোর চেষ্টা করব যে স্মার্ট ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য কি বা কোনটি ভাল। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক-
স্মার্ট টিভির রিমোট অ্যান্ড্রয়েড টিভির রিমোটের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক ধীরগতিতে কাজ করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে উন্নত মানের সেন্সর কোয়ালিটি ব্যবহার করার ফলে এটি দ্রুত গতিতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে HDMI বা VGA কেবল থাকার কারণে যেকোনো সময় যে কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত করতে কোনরকম বাধার সম্মুখীন হতে হয় না।
তবে স্মার্ট টিভিতে এসব হল সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ স্মার্ট টিভির মধ্যে এ ধরনের কোনরকম কেবল সংযোগ ব্যবস্থা থাকে না। তবে আপনারা একটা বিষয় সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন যে, স্মার্ট টিভির মধ্যে এ সকল কেবল সংযোগ ব্যবস্থা না থাকলেও এন্ড্রয়েড টিভিতে স্মার্ট টিভি অনেক গুনে ভালো। কারণ স্মার্ট টিভির মধ্যে এমন কিছু ফিচার রয়েছে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড টিভির মধ্যে নেই।
স্মার্ট টিভির মধ্যে ব্লুটুথ হেডফোন সংযোগ, ওইফাই সংযোগ এবং প্লে স্টোর থেকে নানা ধরনের অ্যাপ অ্যাপ ডাউনলোড করে স্মার্ট টিভির মধ্যে রান করা সম্ভব। ইত্যাদি আর নানা ধরনের ফিচারস রয়েছে। এ সকল ফিচারস কোন অ্যান্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পাওয়া যায় না, এই কারণে স্মার্ট ও অ্যান্ড্রয়েড টিভির মধ্যে স্মার্ট টিভি অনেক ভালো হয়ে থাকে।
স্মার্ট টিভি চেনার উপায়
আপনারা হয়তো অনেকেই বাজারের টিভি কিনতে গিয়ে স্মার্ট টিভি চিনতে পারেন না। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে স্মার্ট টিভি চেনার উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- স্মার্ট টিভি চেনার কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো-
- স্মার্ট টিভিতে তিনটি এইচডি এমআই পোর্ট থাকবে। যদি তিনটি এইচডি এমআই পোর্ট না থাকে তাহলে কমপক্ষে দুইটি এইচডি এমআই পোর্ট থাকলে বুঝবেন যে এটি স্মার্ট টিভি। দুইটি এইচডি এমআই পোর্ট না থাকে তাহলে সেই টিভিটি আপনার কেনা উচিত হবে না।
- একটি স্মার্ট টিভিতে ইন্টারনেট সংযোগ, ওয়াইফাই সংযোগ থাকতে হবে।
- স্মার্ট টিভিতে নেট ব্রাউজিং, অ্যাপস ইনস্টল বা ডাউনলোড, স্কিন শেয়ারিং ইত্যাদি নানা ধরনের সুবিধা থাকতে হবে।
শেষ মন্তব্য
সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি যে, কম দামের সেরা শত্রু টি স্মার্ট টিভি - কম দামে টিভি, স্মার্ট টিভিতে কি কি করা গিয়ে থাকে, কম দামে স্মার্ট টিভি ও বেশি দামি স্মার্ট টিভির মধ্যে পার্থক্য, স্মার্ট টিভি চেনার উপায়, স্মার্ট ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে।
আমাদের লেখা এই আর্টিকেলটি বা পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে এই পোস্ট বা আর্টিকেলটি অন্য সকলের মাঝে বা বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিন। যেন তারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
"আসসালামু আলাইকুম"
"" ধন্যবাদ""
পয়েন্টার ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url