ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই অজানা। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। আসুন তাহলে তা জেনে নেয়া যাক।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা ব্রণ কেন সৃষ্টি হয়, ব্রণ কি কি ধরনের হয়ে থাকে ব্রন দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অজানা। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। অতঃপর চলুন তাহলে এবার বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

সূচিপত্রঃ ব্রন দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রন কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রণ কি? অনেকেই ভেবে থাকে যে এটা কোন প্রশ্ন হয়! সবাই তো জানেই যে ব্রণ কি। যদি আপনারা এটা ভেবে থাকেন তাহলে এটি ভুল ভাবছেন। কারণ ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে ব্রণ কি এই সম্পর্কে জানতে হবে এবং ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। এই ব্রণ অনেক ধরনের এবং অনেক বর্ণের হয়ে থাকে। এবং এর উৎপত্তির রয়েছে অনেক রকম জায়গা। আপনারা হয়তো ভাবছেন যে আমরা হয়তো আপনাদের ভুল তথ্য দিচ্ছি। তবে সেটি একদম না।

সেবিসিয়াল গ্রন্থি থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত তেলের সাথে অবাঞ্চিত এবং শুষ্ক-রুক্ষ মৃত কোষ যেগুলো ডেডসেলস নামে আমাদের মধ্যে পরিচিত। সেই ডেডসেলস বা মৃত কোষ গুলো যখন মিশ্রিত হয়ে ধুলাবালির সংস্পর্শে এসে আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে তখন এই ব্রণ এর দেখা যায়। ডার্মাটোলজিস্টরা এই ব্রণ মেটাতে করেছেন হাজারো রকম গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিক্ষা বছরের পর বছর, যুগ এরপর যুগ।

তবে সেই আগের কঠোর পরিশ্রমের ফল বর্তমানে সময়ে এসে ব্রণ কে চিরতরে ভাগাতে কি পরিমান কাজ করে থাকে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আগের সেই গবেষণা ব্রণ কে ভাগাতে কি ধরনের কাজ করে থাকে আসল তার ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাক।

উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে আসুন আমরা জেনে নেই ব্রণ কেন সৃষ্টি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত এবং ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

ব্রণ কেন সৃষ্টি হয় বিস্তারিত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বর্ণের চিন্তিত এবং ব্রণ কেন সৃষ্টি হয় এ সম্পর্কে জানেনা। তাই চলুন এবার ব্রণ কেন সৃষ্টি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

এই ব্রণ সাধারণত হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই উপদ্রব্যটিকে আমরা অতি শীঘ্রই গোড়া থেকে মুছে ফেলার চিন্তা করে থাকি। এবং এটি মুছে ফেলার চিন্তা অনেক সময় আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। ব্রণ কেন হয় এটির বিভিন্ন কারণ ডার্মাটোলজিস্টরা বিভিন্ন ধরনের তকের উপর গবেষণা করে বের করেছেন তা হল-

হরমোন ভারসাম্যহীনতা বা অভাব -- হরমোনের তারতম্য ঘটা খুবই স্বাভাবিক। এটি বিভিন্ন ধরনের কারন থেকে হতে পারে যেমন ধরুন বয়ঃসন্ধিকাল যখন থেকে শুরু হবে আপনি ছেলে বা মেয়ে হন না কেন আপনার হর মনের মারাত্মক তারতম্য ঘটবে বা ঘটে। এই বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সাথে সাথে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে থাকে। এই কারণে ত্বকে বিভিন্ন অংশে ব্রণ দেখা যায় বা সৃষ্টি হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত তৈলাক্ততা -- আমাদের মধ্যে অনেকেরই ফেস বা মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত থাকে বা দেখা যায় এটিকে সাধারণত অয়েলি ফেস বলা হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকি। ত্বক তৈলাক্ত থাকলে আঠালো সৃষ্টি হয় এবং এতে অতি সহজে ধুলাবালি আটকে যায় এর ফলে এই ব্রণের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

লোমকূপ বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া -- অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবের ফলে এবং ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা ধুলাবালি ও জীবন লোমে প্রবেশ করে লোমকূপকে বন্ধ করে দেয় এবং অ্যাকনি সৃষ্টি করে এর ফলে ত্বকের মধ্যে ব্রণ সৃষ্টি হয়।

ডেটসেল বা বিভিন্ন ধরনের মৃতকোষের সংখ্যা বৃদ্ধি -- স্বাভাবিক অবস্থায় মৃত কোষগুলো যখন বেড়ে যায়। এর ফলে ত্বকের মধ্যে লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং সেবেসিয়াল গ্রন্থির নিঃসরণকে বহন করতে হয়। অতঃপর এর ফলে ডেটসেল বা বিভিন্ন ধরনের মৃত অফিসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ব্রণ সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত ধুলাবালির সংস্পর্শ -- বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে ধুলাবালি সৃষ্টি হয়। এই ধুলাবালি গুলো ত্বকের তৈলাক্ত ভাবের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন রকম রোগ জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে। এর ফলে ব্রণ দেখা দেয়।

বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ -- জলবায়ু এবং ধুলোবালির সঙ্গে ভেসে আশা ব্যাকটেরিয়া যেকোনো উপায়ে ত্বকের সংস্পর্শে আসলে এবং তার অনু ভিতরে প্রবেশ করলে তা ত্বকের মধ্যে মারাত্মকভাবে প্রভাব সৃষ্টি করে এবং ডেডসেল বা ব্রণের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

রক্তের বাধাপ্রদান বা ইনফেকশন -- রক্তের মধ্যে কোনরকম ইনফেকশন বা এলার্জি জাতীয় কোন কিছু থাকলে তা ব্রণ সৃষ্টির জন্য সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। রক্ত সাধারনত সারা দেহ অক্সিজেন প্রভাব করে এবং হৃদস্পন্দন চালু রাখতে সাহায্য করে। সেই রক্তে যদি এমন কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি অ্যাকনির প্রবাহ বাড়িয়ে দেয় এবং ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দেয়।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন -- জীবনযাপনের পদ্ধতি বা লাইফ স্টাইলের ধরন এলোমেলো হয়ে গেলে ত্বকের মধ্যে এই ব্রণের সমস্যা দেখা যেতে পারে। অতঃপর আপনাদের যদি দিনে পানি খাওয়া কম হয় বা পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়া হয় তাহলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে আরও রয়েছে তৈলাক্ত খাবার যেমনঃ ফাস্টফুড এবং দেরিতে ঘুমানো, অতিরিক্ত রাত জাগা, এক্সারসাইজ না করা এবং খাবার এলোমেলো ভাবে খাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

খাদ্যভ্যাস, নিদ্রাহীনতা বেপরোয়া -- ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য প্রধান কারণ ধরা হয় পানি কম পরিমাণে পান করার বদভ্যাসকে। এছাড়াও রয়েছে তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ভালো কার্বনযুক্ত খাবার না খেয়ে খারাপ কার্বনযুক্ত খাবারকে ডেইলি রুটিন বানিয়ে নেয়া, খাবারের অনিয়ম, সকালের খাবার দুপুরে এবং দুপুরের খাবার রাত্রে বা মধ্যরাত জেগে খাওয়া এবং সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ বদভ্যাসের জন্য তাই। অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।

ভারি মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী রাখা -- আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা ভারী মেকাপ করতে পছন্দ করে থাকেন। তবে ভারী মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে মুখে রেখে দিলে বা মেকআপ নিয়ে ঘুমিয়ে গেলে ব্রণ ওঠার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি হয়ে থাকে এবং ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অপরিষ্কার মেকআপ ব্রাশ ব্যবহার -- প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনাদের মধ্যে অনেক মেয়েই রয়েছে যারা মেকআপ ব্যবহার করতে পছন্দ করে থাকে। তবে মেকআপ ব্যবহারের পরে মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার না করেই রেখে দেয় এবং তা দিয়ে পরে আবার মেকআপ ব্যবহার করে। এবং আগের মেকআপ যেগুলো পূর্বে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সহকারে আবার নতুন করে মেকআপ ব্যবহার করে। এর ফলে ত্বকের মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এতে করে ত্বক শুষ্ক এবং ত্বকের মধ্যে পিম্পল দেখা দেয়।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা -- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে ও এই ব্রণের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ডিপ্রেশন, গভীর রাত জাগা, জ্বালাপোড়া ও অধিক দুশ্চিন্তার ফলে ত্বকের মধ্যে ফুসকুড়ি উৎপত্তি হতে দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের পিম্পল সৃষ্টি হয়ে থাকে।

ত্বকের অযত্ন ও অবহেলা -- আমরা প্রায় সময় ব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন তো দূরে থাক সপ্তাহে একদিন যত্ন নেওয়ার সময়টুকু পর্যন্ত পাই না। এর ফলে ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ জীবাণু বাসা বাধে। অতঃপর এর ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ এবং বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে।

ব্রণ কত প্রকার এবং কি কি ধরনের হয়ে থাকে

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা ব্রণ কত প্রকার ও কি কি ধরনের হয়ে থাকে এবং ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে অজানা। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানাতেছি ব্রণ কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে এবং ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে আসুন এবার জেনে নেয়া যাক-
স্বাভাবিক অবস্থায় ব্রণ সাধারণত ৯ ধরনের হয়ে থাকে। তাহলে চলুন এবার ব্রণের ধরন গুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
  • পুষ্টলেস (Pustules): ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট র‍্যাশেরন্যায় লালবাগ এবং অনেক সময় ফোলা ভাব দেখা দিয়ে থাকে এটিকে সাধারণত পুস্টুলেস বলা হয়ে থাকে। সাধারণত সংবেদনশীল ত্বকের মধ্যে এই পুস্টুলেস বেশি হতে দেখা যায়।
  • হোয়াইট হেডস (White heads): হোয়াইটহেডস কিংবা ব্ল্যাকহেডস এর মতই ত্বকের ভেতরে অবস্থান করে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের সমস্যার জনিত তৈলাক্ত থাকে ভারসাম্যহীন স্বার্থপর জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে হোয়াইটহেডেস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
  • ব্ল্যাক হেডেস (Black heads): যে কোন ছেলে কিংবা মেয়ের ব্ল্যাকহেডেস হয়নি এমন খুঁজে পাওয়া অনেকটা দুষ্কর। ব্ল্যাক হেডেস (Black heads) ত্বকের মধ্যে থাকা লোমকূপ গুলোকে বন্ধ করে দেয় এবং ধুলাবালিকে ত্বকে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এর ফলে শরীরের মধ্যে রোমশ কালো দাগ বা কালো অংশ দেখা যায়।
  • সিস্ট(Cyst): এটি তীব্র যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্মক একটি ব্রনের ধরন। সিস্ট(Cyst) হলে এপিডার্মিসের ভেতরে বা ত্বকের মধ্যে মৃত কোষের অংশ সহকারে খোলা অংশ সৃষ্টি হয় এবং এর মধ্যে সাদা তরল পদার্থে ভরে যায়। এটি সাধারণত মেয়েদের পিরিয়ডের সময় কিংবা মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের হরমোনের তারতম্যের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • নডিউলস(Nodules): এটি আমাদের অনেকেরই মাঝে ব্লাইন্ড পিম্পল নামে পরিচিত। ত্বকের এপিডার্মিসে ছত্রাক অনুপ্রবেশ করলে নডিউলস(Nodules) হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। নডিউলস(Nodules) পিম্পলের একটি মারাত্মক রূপ এবং এটি ত্বকের কালো দাগ সৃষ্টি করে থাকে।
  • পুস্টুলেস(Pustules): ত্বক এবং মুখের মধ্যে ছোট ছোট র‍্যাশের ন্যায় লালচে ভাব এবং হালকা ফোলা ভাব ব্রণ এর ন্যায় দেখা দিলে সেটিকে পুস্টুলেস(Pustules) বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এটি সংবেদনশীল তকে পুস্টুলেস(Pustules) বেশি দেখা যায়।
  • এসনি মেকানিকা(Acne Mechanica): আটসাট পোশাক বা টাইট ফিটিং পোশাক দীর্ঘসময় যাবত পড়ার ফলে ত্বকের লোমকূপ অতিরিক্ত চাপের ফলে আটকে যায় এবং এসনি মেকানিকা (Acne Mechanica) সৃষ্টি হতে পারে। এটি সাধারণত কাঁধে, বুকে, পিঠে, মাথায় এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে।
  • এসনি ভালগারিস(Acne Vulgaris): এটি সাধারণত মুখে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব হলে কিংবা ত্বকে তেল অধিক উৎপাদিত হওয়ার ফলে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ছেলে এবং মেয়েদের বয়সন্ধিকালে শুরু হতে দেখা যায়। তবে এটি যে কোন বয়সের পুরুষ বা মহিলার হতে পারে।
  • ক্লোজড কমেডোন (Closed comedones): এটি সাধারণত খাবারের ফলে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট সাদা ফলাংশ দেখা দিয়ে থাকে। তৈলাক্ত খাবারের জন্য এই ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

ব্রণের স্টেজ কত প্রকার ও কি কি

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের ব্রণের স্টেজ সম্পর্কে অজানা। অতঃপর চলুন ব্রনের স্টেজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া যাক এবং ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

ব্রণ সাধারণত চারটি স্টেজে হয়ে থাকে। সে সকল স্টেজ গুলো হল-
  1. প্রথম স্টেজ (প্রবাহবিহীন): এই প্রথম স্টেজে খুবই সাধারণ পিম্পল বা ব্রণ হতে দেখা যায়।
  2. দ্বিতীয় স্টেজে (মারাত্মক ধরনের প্রবাহবিহীন): এ পর্যায়ে ব্রণগুলো হোয়াইটহেডস স এবং ব্ল্যাকহেডস এর নেয় দেখা যায়। এর মধ্যে পুস্টুলেস এর মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়।
  3. তৃতীয় স্টেজ (প্রবাহজনিত): এই পর্যায়ে পিম্পল বা ব্রণের ভিতরে সাদা তরল জাতীয় পদার্থ অনেকটা বেড়ে যায় এবং সেখানে নডিউলস এর উপস্থিতি দেখা যায় অনেক সময়।
  4. চতুর্থ স্টেজ (মারাত্মক প্রবাহজনিত): এটি ব্রণের সর্বশেষ ও মারাত্মক একটি স্তর বা স্টেজ। এই স্তরটিতে বা স্টেজটিতে তরল জাতীয় পদার্থের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায় এবং নডিউলস মারাত্মক আকার ধারণ কোরে সিস্ট দেখা দিয়ে থাকে।

ব্রণ দূর করার ফেসওয়াশ বা ফেসিয়াল মাক্স

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছি যারা কিনা ব্রণ হলে ফেসওয়াশ বা ফেসিয়াল মাক্স এর মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা করে থাকি। এবং ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অজানা। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা ব্রণের জন্য কিছু ভালো এবং উন্নত মানের ফেসওয়াশ বা ফেসিয়াল মাক্সের নাম তুলে ধরবো "ইনশাআল্লাহ"। আসুন তা জেনে নেয়া যাক।
  • পিয়ার্স আলট্রা মাইল্ড ফেসওয়াশ ইন অয়েল ক্লিয়ার গ্লো
  • সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ
  • ডার্মালজিকা ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং ফোমিং ওয়াশ
  • পন্ড'স পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ
  • ল্যাকমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো কিউয়ি ক্রাশ জেল ফেসওয়াশ
  • TEA TREE ফেসিয়াল মাক্স
এ সকল ফেসওয়াশের এবং ফেসিয়াল মাক্সের বর্ণনা নিচের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে জানানো হলো। আসুন সেগুলো জেনে নেই।

ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায়

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে অজানা। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আসুন তা ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাক।

শুষ্ক ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য আমাদের যা করণীয়-

  • বাষ্প বা গরম পানির ভাব -- গরম পানির ভাব বা বাষ্প ত্বকের লোমকূপ গুলোকে আলগা করে দিয়ে খুলে দেয় এর ফলে ত্বকের মধ্যে প্রশান্ত কোমলতা এবং আরামদায়ক অনুভব হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মুখের মধ্যে তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল করে তোলে। এবং পিম্পল বা ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়
  • তরমুজের রস -- তরমুজের রস ব্যবহারের ফলে ত্বকের মধ্যে অ্যাকনি তো দূর হবেই তার সঙ্গে সঙ্গে স্কিন হবে টানটান ও অনেকটা উজ্জ্বল এবং তরমুজের রস নিয়মিত ব্যবহারের ফলে স্কিনের মধ্যে ডেডসেলগুলো সতেজ হতে শুরু করে এবং ব্রণ হওয়া থেকে স্কিনকে রক্ষা করে।
  • টি ট্রি অয়েল -- এই তেলটি রাত্রে ব্রণ এর জায়গায় ব্যবহার করলে দ্রুত ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং তক হবে অনেকটা মসৃণ।
  • তুলসি পাতার রস -- তুলসি পাতার রস ত্বকের মধ্যে ব্রণ যেখানে হয়েছে সেখানে ব্যবহার করলে দ্রুত ব্রণ কে দূর করা যায় বা সম্ভব হয়। এছাড়াও তুলসী পাতার গুনাগুন ত্বকের মধ্যে অনেক উপকার করে থাকে।
  • ল্যাভেন্ডার অয়েল -- ল্যাভেন্ডার অয়েলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের শুষ্ক প্রদাহ কমিয়ে ব্রণ কে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে।
  • মধু -- মধুতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে রোগ প্রতিরোধী উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণকে দূর করে থাকে এবং ত্বকের মধ্যে কোমলতা বজায় রাখে।
  • মিশ্রণ -- শসার রস, চালের গুড়া, এবং মধুর সংমিশ্রণে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে থাকে। এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রেখে ব্ল্যাকহেড সরিয়ে তককে করে তোলে সুন্দর এবং লাবণ্যময়।
  • গোলাপ জল ও দারুচিনি মিশ্রণ -- গোলাপ জলের সঙ্গে দারুচিনি গুড়ার সংমিশ্রণে পেস্ট তৈরি হয়ে থাকে। এই পেস্ট ব্যবহারের ফলে মুখের মধ্যে তৈলাক্ত ভাব এবং ব্রণ দূর হয়ে থাকে।
  • অ্যালোভেরা জেল, হলুদ গুঁড়া এবং গোলাপজল মিশ্রণ -- এই তিন ধরনের উপাদান সংমিশ্রণ করে পেস্ট এর আকার ধারণ করাতে হবে এবং সেগুলো ত্বকের যেখানে ব্রণ সৃষ্টি হয়েছে সেখানে আস্তে আস্তে লাগিয়ে দিতে হবে। এটি নিয়মিত কিছুদিন করলেই এর ফলাফল বুঝতে পারবেন "ইনশাআল্লাহ"।
  • আপেলের রস এবং মধু মিশ্রণ -- আপেলের রসের সঙ্গে মধু মিশ্রণ করে ত্বকের মধ্যে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলেই "ইনশাআল্লাহ" ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • কফি, মধু এবং চিনির মিশ্রণ -- মিশ্রণটি সাধারণত ব্ল্যাকহেডস স এবং হোয়াইটহেডস এর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ত্বকের মধ্যে ম্যাজিক এর মত ব্রণ দূর করে থাকে। অতঃপর এই মিশ্রণ ত্বকে লাগানোর ফলে ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে লোমকূপ গুলো খুলে দিতে সক্ষম হয়।
  • অ্যালোভেরা -- কচি অ্যালোভেরার পাতা রাত্রে পিম্পলের সংক্রামন জায়গা এবং ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। এবং তখন নমনীয় ও কোমল।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য আমাদের যা করণীয়-
  • শসার রস -- এটি সাধারণত ত্বকের ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এর সাথে সাথে শসার রস চোখের নিচের ডাক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • দারুচিনি ও লেবুর রস মিশ্রণ -- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্রণ দূর করার আরেকটি উপায় হল দারুচিনি ও লেবুর রস মিশ্রণ করে ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করলেই এই সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়। এবং এই দারুচিনি ও লেবুর রস মিশ্রণ ত্বক প্রাণবন্তর করে তোলে।
  • মুলতানি মাটি -- এই মাটি সাধারণত ত্বকের ঝুলে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। এবং এটি ত্বকের পিম্পল দূর করতেও সাহায্য করে।
  • পেঁপে ও চালের গুড়া মিশ্রণ -- পাকা পেঁপে এবং চালের গুড়া মিশ্রণ ভালোভাবে করে এটি ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করলে সহজেই দূর করবে ব্রণ বা পিম্পল। সাধারণত পাকা পেঁপের রস ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • চালের গুড়া ও লেবুর রস মিশ্রণ -- এটি সাধারণত স্ক্রাবের মত কাজ করে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য করে থাকে। অতঃপর লেবুর রস হলো একটি রোগ প্রতিরোধি উপাদান এটি সাধারণত ত্বকের প্রদাহ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
  • ফেসওয়াশ এবং বেকিং সোডা মিশ্রণ -- যেকোনো ধরনের রেগুলার ব্যবহারে ফেসওয়াশ এর সঙ্গে হাফ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশ্রণ করে ব্রণ হয় স্থানে ব্যবহার করলেই আস্তে আস্তে ব্রণ ভালো যাবে "ইনশাল্লাহ", তবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে কিছুদিন বা যতদিন পর্যন্ত ব্রণ ভালো না হয়েছে।
  • লেবুর রস -- লেবুর রসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এক্সফোলিইয়েটিং উপাদান। যা সাধারণত ত্বকের মধ্যে লোমকূপ খুলে দিয়ে ফুসকুড়ি সারাতে সাহায্য করে থাকে।
  • টুথপেস্ট -- এটির মধ্যে থাকে মেনথল, পুদিনা পাতা এবং লেবু সহ বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক উপাদানের মিশ্রণ। এটি সাধারণত ত্বকের মধ্যে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • তরমুজের রস এবং চালের গুড়া মিশ্রণ -- চালের গুড়া সাধারণত ত্বকের মধ্যে থাকা নলকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে থাকে। এবং ব্ল্যাকহেড - হোয়াইট হেডস দূর করতে সাহায্য করে থাকে তরমুজের রস। এবং ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
  • চন্দন গাছের গুড়া, লেবুর রস এবং গোলাপজল মিশ্রণ -- চন্দন কাঠের গুড়া এবং গোলাপজল ত্বকের বিভিন্ন জেদি দাগগুলো দূর করতে সাহায্য করে থাকে এবং লেবুর রস ত্বকের নলকূপ গুলো খুলে দেয়।
  • আটা -- আটা দিয়ে পিম্পল কিভাবে দূর হয় এটা শুনে হয়তো বা অনেকেই চমকে উঠবেন। তবে এখানে চমকে ওঠার মতো কিছু নেই আটা দিয়েও পিম্পল দূর করা যায়। আটার মধ্যে শক্তিশালী অক্সফলিয়েটর রয়েছে যা ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • এলোভেরা পাতা -- এলোভেরার পাতার মাধ্যমেও মুখের এবং ত্বকের পিম্পল দূর করা সম্ভব। এলোভেরার পাতার মধ্যে যেই চিপ চিপে পদার্থ থাকে সেগুলো সুন্দর করে বের করে ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করলেই "ইনশাআল্লাহ" পিম্পল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সংবেদনশীল ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য আমাদের যা করণীয়-

  • ডিমের সাদা অংশ -- আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন ডিমের সাদা অংশ শুধু চুলের জন্য নয় বরং ব্রণ নিষ্ক্রিয় করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে। এটি আমাদের ত্বকের ঝুলে পড়া রোগ রোধ করে এবং ত্বকে মসৃণ করে তোলে।
  • বরফ -- এটি এমন একটি উপাদান যা পিম্পল দূর করতে অনেক উপকার করে থাকে বা পিম্পলের সমাধান বলে বিবেচিত। বিশেষ প্রবাহ জনিত ক্ষেত্রে এটি একটি সূতিকাপুরে জড়িয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ধরলে অনেক দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। এই বরফ সাধারণত ত্বকে লালবাগ ও পোলাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • পুদিনা পাতা -- পুদিনা পাতা সাধারণত ত্বকের সংবেদনশীলতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এটি সাধারণত ত্বকের অ্যাকনি হওয়ার প্রবনতা কমায় এবং শীতল ভাব দূর করে হাইড্রেটড রাখে ত্বকে।
  • কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুড়া মিশ্রণ -- কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে সঙ্গে চন্দন কাঠের গুড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে বেটে আক্রান্ত জায়গায় ব্যবহার করলে অতিশীঘ্রই পিম্পল দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং ত্বকে ফিরে আসে অসম্ভব লাবণ্য।
  • মুলতানি মাটি ও নিমপাতা মিশ্রণ -- মুলতানি মাটি ও নিম পাতা মিশ্রণ করে ত্বকের মধ্যে ব্যবহার করলে ত্বকের পিম্পল দূর হয় এবং অনেক উপকার করে থাকে ত্বকের।
  • নিম পাতা ও চন্দন বাটা মিশ্রণ -- নিম পাতা ও চন্দন বাটা ভালোভাবে মিশ্রণ করে কিছু সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে এবং তারপর আক্রান্ত স্থানে সুন্দর করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এই ভাবেই কিছুদিন ব্যবহার করলে "ইনশাল্লাহ" পিম্পলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
  • শঙ্খচূর্ণ -- এই উপাদানটি সাধারণত প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শঙ্খ থেকে শাখা তৈরী ছাড়া ও ব্রণ এর সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে এই উপাদানটি অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণত এই গুড়া পিম্পল দূর করে এবং ত্বকের মধ্যে জেদি দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

ব্রণ শরীরের কোথায় কোথায় হয়ে থাকে

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা ব্রণ শরীরের কোথায় কোথায় হয়ে থাকে এ সম্পর্কে অজানা এবং ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আসুন আমরা জেনে নেই ব্রণ শরীরের কোথায় কোথায় হয়ে থাকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত।

ব্রণ সাধারণত শরীরে যে সকল জায়গায় হয়ে থাকে সেগুলো হল-
  • মুখের মধ্যে
  • নাকের উপরে
  • কপালে
  • চোখের ভ্রুতে
  • চোয়াল ও ঘাড়ে
  • গালে
  • পিঠে
  • বুকে
এই সকল জায়গায় কি কি ধরনের ব্রণ হয়ে থাকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিচে আর্টিকেলটিতে দেয়া হলো আসুন তা এক নজরে জেনে নেয়া যাক।

কোন কোন খাবারে ব্রণ সৃষ্টি হয়

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা জানে না যে ব্রণ কোন কোন খাবারগুলোর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই আসুন এই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
যে সকল খাবারের সৃষ্টি হয়ে থাকে তা হল-
  1. তৈলাক্ত জাতীয় খাবার
  2. অতিরিক্ত চকলেট
  3. অতিরিক্ত আইসক্রিম
  4. ফাস্টফুড
  5. পরিশোধিত চিনি
  6. দুর্গন্ধ জাতীয় খাবার সমূহ
  7. অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট
বেশিরভাগ সময় এ সকল খাবার থেকেই ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই আমাদের করণীয় এ সকল খাবার সীমিত পরিহারে খাওয়া এবং শরীর এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া।

ব্রণ প্রতিরোধের খাবার সমূহ

আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে ব্রণ প্রতিরোধে খাবার সমূহ সম্পর্কে। এই খাবার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা থাকার সত্বে অনেকেই এই সকল খাবার খেতে পারে না এবং দ্রুত ব্রণ থেকে মুক্তি পায় না। তাই আসুন এ সকল খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

ব্রণ প্রতিরোধ ও দমন করতে আমাদের যে সকল খাবার খাওয়া উচিত তা হল-
  • বেশি পরিমাণে পানি
  • টাটকা শাক-সবজি পরিমাণ মত খাওয়া
  • মৌসুমী ফল বেশি বেশি খাওয়া
  • ঘরোয়া কম তেল যুক্ত খাবার বা স্নেহযুক্ত খাবার খাওয়া
এ সমস্ত খাবার নিয়মমাফিক খেলেই "ইনশাআল্লাহ" ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ব্রণ প্রতিরোধে আমাদের করণীয়

ব্রণ পুত্র যা আমাদের যে সকল কাজ করণীয় তা হল-
  • প্রতিদিন নিয়মমাফিক খাবার খাওয়া
  • বেশি পরিমাণ পানি পান করা
  • টাটকা শাকসবজি পরিমাণ মত খাওয়া
  • তৈলাক্ত জাতীয় খাবার কম খাওয়া
  • ফাস্টফুড জাতীয় খাবার কম খাওয়া বা না খাওয়াই ভালো
  • পরিশোধিত চিনি কম খাওয়া
  • এবং ঠিকমতো শরীর বা ত্বকের যত্ন নেয়া
এ সকল কাজ ছাড়াও ইত্যাদি আরো বিভিন্ন উপায়ে আমরা শরীরের বা ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্যঃ ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, ব্রণ কি, ব্রণ কেন সৃষ্টি হয়, ব্রণ কত প্রকার ও কি কি, ব্রণ দূর করার ৩২ টি ঘরোয়া উপায়, ব্রণ প্রতিরোধের খাবার সমূহ, ব্রুনপুতরাতে আমাদের করণীয় ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে।

অতঃপর আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আর্টিকেলটি সকল বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে শেয়ার করে দিতে পারেন। যেন তারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পয়েন্টার ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url