সরকারিভাবে কয়টি দেশে যাওয়া যায় - সেগুলো কোন কোন দেশে
"আসসালামু আলাইকুম" সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আপনারা হয়তো অনেকেই সরকারিভাবে কয়টি দেশে যাওয়া যায় এই সম্পর্কে গুগল বা ক্রোম ব্রাউজারে রিসার্চ করে থাকেন। কারণ সরকারিভাবে বিদেশে গেলে বা যে কোন দেশে গেলে এক ক দিক থেকে যেমন খরচ কম হয় তেমনি অন্য দিক থেকে জীবনের ঝুঁকিও থাকে না। তাই আমাদের দেশে প্রায় 70% মানুষ সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার উপায় খুঁজে থাকে।
তাই আজকের এই পোস্ট বা আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানাবো যে, সরকারি বা আইনতভাবে বিশ্বের কোন কোন দেশে যাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে এই সম্পর্কে। এছাড়াও এর মধ্যে আরো জানাবো সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে কিভাবে যাবেন এবং সরকারিভাবে যে কোন দেশে যেতে কতটা খরচ হয়ে থাকে। চলুন তাহলে এই বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
সূচিপত্রঃ সরকারিভাবে কয়টি দেশে যাওয়া যায় - কোন কোন দেশে
- বিদেশে যাওয়ার সরকারি এজেন্সি
- সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার উপায়
- সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- স্বল্প খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়ার উপায় সমূহ
- সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয়ন পদক্ষেপ সমূহ
- কত বছর বয়স হলে বাইরের রাষ্ট্রে যাওয়া যায়
- সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যাওয়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং এর উত্তর সমূহ
- লেখকের মন্তব্য
বিদেশে যাওয়ার সরকারি এজেন্সি
আমরা যারা বিদেশে যেতে চাই তারা সরকারি এজেন্সির কাছে না গিয়ে দালাল বা ব্রকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকি। এতে করে দালালরা অনেক সময় আমাদের টাকা মেরে দেয় এবং আমরা প্রতারণার শিকার হই। এর প্রেক্ষাপটে আমাদের পরামর্শ হলো দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আপনি সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে সরকারি এবং আইনতভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেকগুলো সরকারি এবং বেসরকারি ভিসা এজেন্সি কোম্পানি রয়েছে। এই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আপনি যদি বিদেশে জান তাহলে তারা আপনাকে সম্পূর্ণরূপে সুযোগ-সুবিধা এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এবং কোনো রকম বিপদের সম্মুখীন না হয়েই বিদেশে পাড়ি জমাতে পারেন।
চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক বিদেশে যাওয়ার এজেন্সি বা কোম্পানিগুলোর সম্বন্ধে-
নিলয় ওভারসিস এন্ড ট্রাভেলিং লিমিটেড এজেন্সি বা কোম্পানি -- এই কোম্পানিটি একটি বিশ্বাসযোগ্য কোম্পানি। এই কোম্পানির সাহায্যে অল্প খরচেই বিদেশে যাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে। এই কোম্পানিটি কোথায় অবস্থিত এবং এর বর্তমান ঠিকানা নিচে উল্লেখ করা হলো-
- মোবাইল নম্বরঃ ০১৭১২৫৭৬৬৬১ এবং ০১৯১৪৪০৬০৬
- ঠিকানাঃ মৌচাক টাওয়ার, ৪৮/বি, অষ্টম তলা, মালিবাগ মোড়, ঢাকা
- ফ্যাসিমাইল বা ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৯৩৪১৮০২
শাহেনা ট্যুরস্ট এন্ড ট্রাভেল এজেন্সি বা কোম্পানি -- এটি একটি ট্রাভেলস কোম্পানি। এই কোম্পানির মাধ্যমে আপনি, যে কোন দেশে যে কোন ভিসা খুব সহজেই অল্প খরচের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এই কোম্পানির বা এজেন্সির বর্তমান ঠিকানা হলো-
- মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১৯২১৬৩৮৮
- ঠিকানাঃ হাবিবুল্লা মেনশন, চতুর্থ তলা, ১২০ ডি আই টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুর, ঢাকা
- ফ্যাসিমাইল বা ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৭১৯২৮৬২
মাহবুব ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি বা কোম্পানি -- এই কোম্পানি বা এজেন্সিটি হলো অনেক ভালো এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি। এই এজেন্সির মাধ্যমে অনেক মানুষ সরকারি এবং আইনতভাবে যেকোনো দেশে যেতে পারেন। এবং এর খরচ সীমিত পরিহারে। এই এজেন্সির বা কোম্পানির বর্তমান ঠিকানা হলো-
- মোবাইল নাম্বারঃ০১৭১৫০০৯০৯৬, ০১৮১৯২৫৭০৪৯ এবং ০১৭৪৮৩৮৩৮৩০
- ঠিকানাঃ ডি আই টি. রোড, ৪৭৬/বি, গ্রাউন্ড ফ্লোর, ঢাকা
- ফ্যাসিমাইল বা ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৮৩১১৪৮১
এই তিনটি এজেন্সি ছাড়াও ঢাকাতে আরো অনেক ধরনের এজেন্সি রয়েছে। তবে এই তিনটি এজেন্সি অল্প টাকাতে বাংলাদেশ থেকে যেকোনো দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রদান করে থাকে। এবং এই কোম্পানিগুলো সুন্দর ও সঠিকভাবে কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই আপনাদের দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে থাকে।
সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার উপায়
পৃথিবীর অন্যতম অন্য সকল রাষ্ট্রের মত ইউরোপ একটি উন্নত রাষ্ট্র। আমাদের অনেকেরই মনে ইচ্ছা থাকে উন্নত জীবন যাপন করার। এই কারণে আমরা অনেকেই ইউরোপ ভ্রমণ করতে চাই এবং উন্নত জীবন যাপন নিশ্চিত করার জন্য সেখানে কাজ করতে চাই।
ছোটকাল থেকেই অনেকের মনে ইচ্ছা জাগে বা অনেকের স্বপ্ন থাকে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার। এবং তা যদি সরকারি বা আইনতভাবে হয় তাহলে তো কোন প্রকার কথাই নেই। অনেকে রয়েছেন যারা সরকারি বা আইনতভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে ভ্রমণ করতে চান। আবার অনেকেই রয়েছে দালাল ধরে ইউরোপে ভ্রমণ করতে চায়।
আপনি যদি দালালের খপ্পরে পড়ে বা দালালের কথার ভাজে পড়ে তাদেরকে টাকা দিয়ে ইউরোপ কান্ট্রিতে ভ্রমণ করতে চান বা উন্নত জীবন যাপনের জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার লাভের থেকে ক্ষতি সম্ভাবনা অধিক হয়ে থাকে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটির বিষয় সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার উপায়। অর্থাৎ সরকারিভাবে কিভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়া যায় এই সম্পর্কে।
পুরো পৃথিবীতে বা বিশ্বে যতগুলো উন্নত রাষ্ট্র রয়েছে তার মধ্যে ইউরোপ হলো একটি উন্নত রাষ্ট্র। ইউরোপ দেশে থাকা বা ভ্রমণ করা অনেক মানুষের স্বপ্ন রয়েছে। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে চায় কিন্তু তারা সঠিকভাবে ভিসার আবেদন করতে পারে না। তারা সাধারণত দালালের মাধ্যমে ইউরোপে ভ্রমণ করতে চায় বা ইউরোপে ঢুকতে চায়।
তবে তারা এটা বোঝেনা যে তারা কতটা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ দালালের হাত ধরে গেলে তারা জান মালের নিরাপত্তা তারা দেয় না। ঝুঁকিপূর্ণভাবে যেতে হয় এতে পরিবারসহ আপনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এখন থেকে দালালের হাত না ধরে অল্প খরচে জানমালের নিরাপত্তা সহ আপনি ইউরোপ কান্ট্রিতে যেতে পারবেন বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি থেকে।
বর্তমানে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা পাওয়া যায় ভিসা গুলো হল-
- টুরিস্ট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- জব ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ইত্যাদি নানা ধরনের ভিসা রয়েছে যেগুলোর মধ্যে থেকে আপনাকে পছন্দ করতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে যাবেন। এক কথায় অনেক ধরনের ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া গিয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে ভিসা পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এরপরেও কি করে সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রি তে যাওয়া যায় এই নিয়ে নিচে আলোচনা করব।
ইউরোপ যাওয়ার পূর্বে যে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং নিতে হবে। এরপর একটি বৈধ পাসপোর্ট করে নিতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই ছয় মাস থাকতে হবে। এছাড়াও যাবিতীয় তথ্যাদি প্রদানের মাধ্যমে আপনি সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার আবেদন করতে পারে। অতঃপর সরকার অনুমোদিত বিষয়ে অনেক এজেন্সি থেকে ইউরোপ কান্ট্রি ভিসা পাওয়া গিয়ে থাকে।
এছাড়াও আপনি যদি ইউরোপ যেতে অনেক ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে তাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক সমস্ত ডকুমেন্ট ফুল ফিল করতে হবে। এবং ভিসার জন্য তাদের কাছে আবেদন করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটের মাধ্যমে আপনি ইউরোপ কান্ট্রিতে গিয়ে ভ্রমণ, জব এবং পড়ালেখা করতে পারেন।
এই সকল কাজ করার মাধ্যমে আপনারা ইউরোপ সহ এশিয়া কান্ট্রিস বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পারেন বা যেতে পারেন।
আশা করছি সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রি তে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে ভালোভাবে বুঝাতে পেরেছি। যদি আপনাদের ভালো হবে বোঝাতে পারি তাহলে আপনার মতামতটি কমেন্ট বক্সে দিয়ে যেতে ভুলবেন না।
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়তো জানেন না যে সরকারিভাবে বা সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানাতে চলেছি সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই সম্পর্কে।
সরকারিভাবে যে সকল দেশে যাওয়া সে সকল দেশের নাম নিচে ছকে দেয়া হোল-
HTML Table
ক্রমিক নং | দেশের নাম | ক্রমিক নং | দেশের নাম |
---|---|---|---|
১ | সৌদি আরব | ২৬ | জাপান |
২ | রোমানিয়া | ২৭ | থাইল্যান্ড |
৩ | কানাডা | ২৮ | যুক্তরাষ্ট্র |
৪ | যুক্তরাজ্য | ২৯ | অস্ট্রেলিয়া |
৫ | শ্রীলংকা | ৩০ | লেবিয়া |
৬ | চীন | ৩১ | লেবানন |
৭ | কম্বোডিয়া | ৩২ | জর্ডান |
৮ | সিঙ্গাপুর | ৩৩ | জামাইকা |
৯ | ইতালি | ৩৪ | নিউজিল্যান্ড |
১০ | বাহারাইন | ৩৫ | কুয়েত |
১১ | ডেনমার্ক | ৩৬ | মালদ্বীপ |
১২ | কাতার | ৩৭ | মালয়েশিয়া |
১৩ | সুইজারল্যান্ড | ৩৮ | ওমান |
১৪ | ভারত | ৩৯ | সংযুক্ত আরব আমিরাত |
১৫ | অস্ট্রেলিয়া | ৪০ | উত্তর কোরিয়া |
১৬ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৪১ | দুবাই |
১৭ | ফ্রান্স | ৪২ | ইন্দোনেশিয়া |
১৮ | মরিশাস | ৪৩ | ব্রুনাই |
১৯ | ডেনমার্ক | ৪৪ | ইরাক |
২০ | জর্ডান | ৪৫ | পাকিস্তান |
২১ | উরুগুয়ে | ৪৬ | ক্যামেরুন |
২২ | কাজাখস্তান | ৪৭ | কেনিয়া |
২৩ | গ্রীস | ৪৮ | চিলি |
২৪ | ভুটান | ৪৯ | মধ্য আফ্রিকা |
২৫ | সেন্ট লুসিয়া | ৫০ | হাইতি |
স্বল্প খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছে যারা স্বল্প খরচে বাইরের দেশে কাজের জন্য যেতে চায়। তবে অনেকেই কোন দেশে যাবে এটি ভালো হবে ডিসাইড করতে পারে না। তাই আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা অল্প খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি স্বল্প খরচে কোন দেশে গেলে ভালো হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন "ইনশাল্লাহ"। আসুন তাহলে এবার সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক-
স্বল্প খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই সম্পর্কে নিচের ছকে কয়েকটি দেশের নাম দেয়া হলো যে সব দেশে স্বল্প খরচে যাওয়া যায় এবং ভালো একটি অর্থ উপার্জন করা যায়।
HTML Table
ক্রমিক নং | দেশের নাম | ক্রমিক নং | দেশের নাম |
---|---|---|---|
১ | সৌদি আরব | ২৬ | জাপান |
২ | রোমানিয়া | ২৭ | থাইল্যান্ড |
৩ | কানাডা | ২৮ | যুক্তরাষ্ট্র |
৪ | যুক্তরাজ্য | ২৯ | অস্ট্রেলিয়া |
৫ | শ্রীলংকা | ৩০ | লেবিয়া |
দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়ার উপায় সমূহ
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করব দালাল ছাড়া কিভাবে বিদেশ যাওয়া যায় এই সম্পর্কে।
দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়ার উপায় সমূহ হলো-
- সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে
- বেসরকারি এজেন্সিবা কোম্পানির মাধ্যমে
- ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক সমস্ত ডকুমেন্ট ফুল ফিল করার মাদ্ধমে
এই তিন মাধ্যমে আপনি সরকারিভাবে এবং আইনতভাবে যে কোন দেশে ভ্রমণ বা জবের জন্য যেতে পারেন।
সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা জানে না যে, সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে এই সম্পর্কে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা সরকারি ভাবে যেকোনো দেশের সাথে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো-
সরকারিভাবে কোন দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয়ে থাকে এই সম্পর্কে নিচে দেয়া হলো-
সৌদি আরব -- বর্তমানে কাজের জন্য সৌদি আরবে যেতে অনেক টাকা প্রয়োজন হয়। যদি বর্তমানে কাজের জন্য আপনি সৌদি আরবে যান তাহলে সরকারিভাবে বা আইনতভাবে আপনার খরচ পড়বে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
কানাডা -- আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা কাজের জন্য কানাডা যেতে চান। সাধারণত কানাডায় কাজের জন্য যেতে ন্যূনতম ৩ লক্ষ্য থেকে ৫ লক্ষ্য টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ্য থেকে ১২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হয়ে থাকে।
মালয়েশিয়া -- আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা মালয়েশিয়া যেতে চাই কাজের জন্য। তাই আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। সাধারণত মালয়েশিয়ায় সরকারি বা আইনতভাবে যেতে সর্বনিম্ন ৮ লাখ টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ইতালি -- প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনাদের মধ্যে বর্তমানে কেউ যদি ইতালিতে সরকারি ভাবে যেতে চায় তাহলে তার বর্তমান খরচ সাধারণত ৪ লাখ টাকা হয়ে থাকবে। তবে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয়ন পদক্ষেপ সমূহ
বিদেশে যাওয়ার পূর্বের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ এই বিষয়ে আমাদের মাঝে অনেকেই জানে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা বিদেশে যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বিদেশে যাওয়ার পূর্বে যে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ নেয়া উচিত সেগুলো হল-
- সর্বপ্রথম যে কাজটি করণীয় হলো বৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে।
- নিজের অবস্থান বিবেচনা করে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- পাসপোর্ট পাওয়ার পর আপনাদের নিজ নিজ জেলায় গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
- যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর প্রেক্ষাপটে সারা দেশে ৪০ টিটিসিতে সরকারি আওতাধীন বি এমইটি ভাষা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
- পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।
- সরকারের অনুমোদিত বৈধ ও আইনসম্মত রেজিস্ট্রি এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে হবে।
- যেকোনো জায়গায় সাইন করার পূর্বে ভালোমতো পড়ে ও বুঝে সাইন করুন বা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করুন। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সমস্ত কাগজপত্রের দুই থেকে তিন সেট ফটোকপি রাখা ভালো।
- বি এমইটি স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হবে।
- বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। (TVC)
- বিদেশে যাওয়ার পূর্বে তিন দিনের ব্যাগ বহির্গমন প্রশিক্ষণ অংশ নিতে হবে। এক্ষেত্রে মন ও মাইন্ড দুটোই ভালো থাকবে।
- অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
- প্রবাসীদের সহযোগিতা ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য ওয়েস আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সাহায্য নিতে হবে।
কত বছর বয়স হলে বাইরের রাষ্ট্রে যাওয়া যায়
আমাদের দেশ থেকে বা অন্য সকল দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে এটা জেনে রাখা ভালো যে কোন বয়সের মানুষ পৃথিবীর যেকোন দেশে যেতে পারবে। পর্যটন হিসেবে এবং কাজের জন্য বা পেশার জন্য অন্য যে কোন দেশে যে কোন বয়সে যেতে পারবেন না।
শুধুমাত্র কয়েকটি ভিসায় যে কোন দেশে যাওয়া গিয়ে থাকে। সেই ভিসা গুলো হল-স্টুডেন্ট ভিসা, চিকিৎসা ভিসা এবং ভ্রমণ ভিসা ইত্যাদি আরও অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স হয়েছে। এই বয়সের নিচে কোন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায় না।
একটা কথা জেনে রাখা ভালো যে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট একটি বয়সে মানুষকে অনুমতি দিয়ে থাকে সেই দেশের সরকার। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই ১৮ বছরকে কাজ করার জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর মধ্যে কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেসব দেশে সর্বনিম্ন বয়স হতে হয় ২১ বছর। এবং এর মধ্যে কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোতে কাজ করার জন্য বয়সের সীমাবদ্ধতা দিয়ে রেখেছেন সেই দেশের সরকার।
এক কথা বলতে গেলে পৃথিবীর যেকোন দেশে কাজ করার জন্য যেতে হলে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী হতে হবে।
সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যাওয়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং এর উত্তর সমূহ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনাদের মনে হয়তো এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, কোন দেশের কাজের ভিসা পাওয়া অনেক সহজ, ইউরোপের কোন কোন দেশে চাকরির সুবিধা অনেক বেশি, অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন দেশ ভালো, কোন দেশে চাকরি পাওয়া সবচেয়ে সহজ এবং যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পাওয়া সহজ কি না ইত্যাদি আরও নানা ধরনের প্রশ্ন আপনাদের মনে আসতে পারে।
তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব "ইনশাআল্লাহ"। তাহলে এবার আসুন প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
ইউরোপে কোন দেশে চাকরির সুবিধা সবচেয়ে বেশি -- ইউরোপের কোন কোন দেশে চাকরির সুবিধা সবচেয়ে বেশি থাকে এ সম্পর্কে জেনে নিন। ইউরোপের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের চাকরির সুবিধা অনেক বেশি হয়ে থাকে তার মধ্যে দুইটি হলো নেদারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও রয়েছে লিথুনিয়া, জার্মানি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ। সাধারণত ইউরোপে এই সকল দেশে চাকরির সুবিধা সব সময় অনেক বেশি হয়ে থাকে।
কোন দেশে কাজের ভিসা পাওয়া সহজ -- কোন দেশে কাজের ভিসা পাওয়ার সবচেয়ে বেশি সহজ এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেকেই জানে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই বিষয় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব "ইনশাআল্লাহ"। কয়েকটি দেশ বিভিন্ন রকম চাকরির সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে এর মধ্যে দুইটি দেশ হলো নেদারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও বিভিন্ন দেশ সুইজারল্যান্ড, লিথুনিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, সুইডেন সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ।
অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন দেশ সবচেয়ে ভালো -- আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না যে অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন দেশ সবচেয়ে ভালো হবে। এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেই। অদক্ষ শ্রমিক সাধারণত যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি , লুক্সেমবার্গ এবং স্পেন সহ বিভিন্ন দেশে অদক্ষ শ্রমিককে তাদের দেশের সরকার নিয়ে থাকে। কারন এ সকল দেশে গোডাউনের কাজ, নির্মাণ কাজ, পরিষ্কারের কাজ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
কোন দেশে চাকরি পাওয়া সবচেয়ে বেশি শহর -- কোন দেশে চাকরি পাওয়ার সবচেয়ে বেশি সহজ এ প্রশ্নটি আমাদের মাঝে অনেকেই করে থাকে। তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। চাকরি পাওয়ার সবচেয়ে বেশি সহজ এই দিক থেকে যে সকল দেশ এগিয়ে আছে তা হচ্ছে কানাডা। কানাডায় কার্যের তুলনায় জনসংখ্যা খুবই কম। তাই এই দেশের সরকার খুব দ্রুত কর্মীদের চাকরি দিয়ে থাকে। এই দেশটি খুবই অতিথি পরায... তাই অতি সহজেই এ দেশে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া গিয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি লেখার মাধ্যমে আপনাদের জানার চেষ্টা করেছি যে, বিদেশে যাওয়ার সরকারি এজেন্সি, সরকারিভাবে ইউরোপ কান্ট্রি তে যাওয়ার উপায়, অল্প খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়ার উপায় সমূহ, কত বছর বয়স হলে বাইরের রাষ্ট্রে যাওয়া যায় ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে।উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি অন্যদের মাঝে এবং আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিন। তারা যেন এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
"আসসালামু আলাইকুম"
""ধন্যবাদ""
পয়েন্টার ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url