অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ টবে বাসা-বাড়িতে লাগানোর উপাই এবং এর চাষ পদ্ধতি।

"আসসালামু আলাইকুম" অ্যালোভেরা গাছ টবে বাসা-বাড়িতে লাগানোর উপাই এবং এর চাষ পদ্ধতি।এবং এই গাছ কোন মাটিতে বেশি উৎপন্ন হয়? অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা। এটি কী কী কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে? অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় করার উপায়। এবং এই গাছের রোগ নির্ণয় পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি হয়তোবা অজানা। তাহলে আসুন এ সকল তথ্য জেনে নেওয়া যাক-
যদি আপনি উপরিপ্ত এই সকল বিষয় সম্পর্কে না জানে থাকেন তাহলে আজকেরে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা উপরিউক্ত সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। তাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পরুন। আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন "ইনশাআল্লাহ"। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক-

সূচিপত্রঃ অ্যালোভেরা গাছ টবে বাসা-বাড়িতে লাগানোর উপাই এবং এর চাষ পদ্ধতি

ভূমিকা

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ টবে বাসা-বাড়িতে লাগানোর উপাই এবং এর চাষ পদ্ধতি।অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি উদ্ভিদ। এর অনেক ধরনের গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি গুণ হল ঔষধি গুন। এই উদ্ভিদ বা গাছটি মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও এটি আজকাল এতটাই জনপ্রিয় উপকৃত উদ্ভিদ যে, আজকাল রাস্তার মোড়ে মোড়ে এই উদ্ভিদের পাতা এবং গাছ দুটোই বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে বর্তমানে এই উদ্ভিদটি বাসা-বাড়িতে টবের মধ্যে লাগানো হয়ে থাকে বা লাগিয়ে থাকে। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক অ্যালোভেরা গাছ কোন মাটিতে বেশি উৎপন্ন হয়ে থাকে-

অ্যালোভেরা গাছ কোন মাটিতে বেশি উৎপন্ন হয়

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি বহুজীবী ঔষধি উদ্ভিদ। সাধারণত এই গাছটিকে বা উদ্ভিদটিকে দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো লাগে। এই উদ্ভিদের পাতাগুলো লম্বা হয়ে থাকে, পাতার দুই ধারে করাতের মতো কাঁটা দেখতে পাওয়া যায় এবং এই উদ্ভিদের পাতার মধ্যে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস হয়ে থাকে। অ্যলোভেরা ছোট বড় সকল ধরনের টবে লাগানো যায়, এবং চাষ করা যায়। তবে দোঁআশ ও অল্প কিচু বালি মিশ্রিত মাটিতে এই উদ্ভিদের বা গাছ বৃদ্ধি ভালো হয়ে থাকে।

অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ হওয়ার পদ্ধতি

অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ হওয়ার পদ্ধতি হয়তো আপনার-আমার সকলেরই অজানা। তাই এবার "অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ হওয়ার পদ্ধতি" এই কথাটি কতটুকু সত্যি সেটি জেনে নেওয়া যাক-

কচি অ্যালোভেরার পাতা থেকে সাধারণত গাছ হয়ে থাকে। এই অ্যালোভেরার পাতা কিছু সময় শুকনো জায়গায় রেখে শুকানোর জন্য রেখে দিতে হবে। অতঃপর, কাটা পাতাটির নিচের অংশ শুকিয়ে গেলে টবে দোঁআস ও অল্প কিছু বালি মিশ্রিত মাটি নিয়ে শুকনো দিকটি টবের মাটিতে রোপন করে দিতে হবে। টবে গাছ লাগানোর পর গাছের উপরে অল্প অল্প করে পানি দিতে হবে, যতদিন না পর্যন্ত পাতার উপরে বা চারার উপরে নতুন কুশি না এসেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এর নতুন অঙ্কূর বা কুশি চলে আসে। বাসা বাড়িতে এর চারা লাগানো অনেক ভালো। কারণ যেকোনো সময় প্রয়োজন মোতাবেক পাওয়া যায়।

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা জানলাম অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ হওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে। অতঃপর, এখন আমরা জানব অ্যালোভেরা খেলে বা ত্বকে মাখলে কি কি উপকার হয়ে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে-

অ্যালোভেরাতে সাধারণত অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ ( বিটা-ক্যারোটিন ) ভিটামিন সি, ই, ফলিক এসি এবং ক্লোরিন সহ অল্প পরিমাণে খনিজ। এবং এর মধ্যে আরও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা মুক্ত রেডিক্যাল জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এটি মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

এবং এর মধ্যে আরও রয়েছে ত্বকের পিম্পল দূর করার মতো ঔষুধি গুন। ত্বকের অতিরিক্ত পরিমাণে তেল সৃষ্টি হওয়ার কারণে ব্রণ অথবা পিম্পল সমস্যা দেখা দেয়। যা মুখের মধ্যে দেখতে অনেকটা খারাপ লাগে। ব্রণ বা পিম্পলের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অ্যালোভেরার জেল দিনে দুইবার ব্যবহার করতে হয়। এটি করলে পিম্পল বা ব্রণ আস্তে আস্তে অদৃশ্য বা ভালো হতে শুরু করে। ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা অনেক উপকার করে থাকে।
এলোভেরা জেল ত্বকের মধ্যে হাইড্রেটেড এবং পুষ্টি উপাদান সরব্রাহ করতে সহায়তা করে। অ্যালোভেরার শরবত বা জুস বা রস খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা সম্ভাব হয়ে থাকে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অ্যালোভেরার রস পান করুন "ইনশাআল্লাহ" কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অতি শীঘ্রই মুক্তি পাবেন।

অ্যালোভেরা সাধারণত ওজন হ্রাস বা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জুসে এমন কিছু খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্রিডেন্ট রয়েছে যা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে থাকে। অ্যালোভেরা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সম্ভব হয়ে থাকে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন "ইনশাআল্লাহ" ওজন কমে যাবে।

শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে অ্যালোভেরা ভীষণভাবে কাজ করে থাকে। শরীরের মধ্যে কোলেস্টেরল থাকা জরুরী। তবে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকলে শরীরের মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অতঃপর খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে। তাই শরীরের মধ্যে কোলেস্টেরল কমানো অতীব জরুরী। শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানোর জন্য অ্যালোভেরা অল্প করে বা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।

অ্যালোভেরার কিছু অপকারিতা রয়েছে তা হল- যদি কোন ব্যক্তি এলোভেরা রস পান করতে চায় তাহলে সর্বপ্রথম রস গুলো পান করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, এর মধ্যে কিছু কিছু অ্যালোভেরার গাছের রস ক্ষতিকারক হতে পার। তাই সতর্ক থাকা অতীব জরুরী।

গর্ভাবস্থায় মা বা মেয়েদের অ্যালোভেরার রস খাওয়া বা ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, এর রস মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকারক দিক হয়ে উঠতে পারে। তাই এর ব্যবহার না করাই ভালো।

অ্যালোভেরা কী কী কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে

সাধারণত অ্যালোভেরা এক ধরনের ঔষধি গাছ বা উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা সাধারণত যে সকল কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে তা হল-
  • মুখের ব্রণ বা পিম্পল দূর করার কাজে।
  • পায়ের গোরালি ফাঁটা কমানোর কাজে।
  • ত্বকের বলিরেখা রোধ করার কাজে।
  • ত্বকের যৌবন শক্তি ধরে রাখতে।
  • ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে।
  • মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে অ্যালোভেরা কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • চুল বৃদ্ধি করার কাজে। ইত্যাদি আরও নানা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অ্যালোভেরা সাধারণত খাওয়ার জন্যও ব্যবহার হয়ে থাকে। এটির ভিতর লালার মত যে সকল পদার্থ দেখা যায় সেগুলো জুস করে খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে।

অ্যালোভেরা গাছ টবে বাসা-বাড়িতে লাগানোর উপায়

বাসা-বাড়িতে অ্যালোভেরার গাছ টবের মাধ্যমে লাগানো হয়ে থাকে। যে পদ্ধতিগুলো মেনে চলে বাসা-বাড়িতে সুন্দরভাবে টপের মধ্যে এলোভেরার গাছ লাগাবেন সে সকল পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো-
প্রথমত আপনি কতগুলো টবে গাছ লাগাবেন তা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর টপ গুলোকে সুন্দরভাবে দোঁয়ার মাটি এবং অল্প কিছু বালি দিয়ে ভরাট করে নিতে হবে। এবং তার মধ্যে পারলে ডিমের খোসা সুন্দরভাবে গুলি করে দিয়ে দিতে হবে। আর যদি না পারেন তাতেও কোন সমস্যা নেই।

অতঃপর, সেই অনুযায়ী অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই পাতাগুলোকে শুকনোস্থানে কিছুক্ষণ বা ( ৪-৫ ঘন্টা ) রেখে দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে, এরপর পাতাগুলোর কাটা অংশ শুকিয়ে গেলে কাটা অংশগুলো নিচের দিকে রেখে টবের মধ্যে লাগিয়ে ফেলতে হবে। এরপর সেই পাতাগুলোর উপর আস্তে আস্তে দুই থেকে চার দিন পানি দিলেই তার মধ্য থেকে অঙ্কুর বা কুশি বেরিয়ে আসবে।

বাসা বাড়িতে এগুলো ছাদের উপর এবং ব্যালকনিতে সুন্দরভাবে রাখা যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলোর ছোট ছোট পাতা কেটে নিজের বা পরিবারের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায়। যা নিজের এবং পরিবারের জন্য অনেক উপকারী।

অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় করার উপায়

অ্যালোভেরার গাছ লাগানোর পরে যদি না বৃদ্ধি পায় তাহলে কি করবেন এবং গাছ বড় করার উপায় কি? এই প্রশ্নটা অনেক মানুষেরই করে থাকে। এই সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো। আসুন তা জেনে নেওয়া যাক-
সাধারণত অ্যালোভেরার গাছ লাগানোর পর অনেকেরই বৃদ্ধি পায় না। এমনতো অবস্থায় যেসকল কাজ করা উচিত তা হল হাড়গুড়া, ডিমের খোসার গুড়া গাছের গোড়ার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেই অ্যালোভেরার গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি হতে থাকবে এছাড়াও গাছের পাতাও দ্রুত বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। এ সকল কাজ করলে গাছের গোড়া থেকে আবার নতুন করে কুশি বা গাছ হওয়া শুরু করবে। তবে গাছ বৃদ্ধি না পেলে ঔষধ দিয়ে স্প্রে করা যাবে না এতে করে ব্যবহারের সময় অনেক ক্ষতি হতে পারে ত্বকের।

অ্যালোভেরা গাছের যত্ন কিভাবে নেওয়া হয়ে থাকে

অ্যালোভেরার গাছের যত্ন কিভাবে নেওয়া হয়ে থাকে এটা অনেকেই হয়তোবা জানে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এলোভেরার গাছের যত্ন কিভাবে নেওয়া হয়ে থাকে তা তুলে ধরা হলো। আসুন জেনে নেওয়া যাক-

অ্যালোভেরার গাছের যত্ন নেয়ার জন্য যেই কাজটি সর্বপ্রথম করতে হবে তা হল, তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো। যেখানে অন্ততপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘন্টা সরাসরি সূর্যের আলো এসে পৌঁছায় সেখানে টপগুলোকে রেখে দিতে হবে। ২৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা এই গাছের জন্য উপযুক্ত বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।

এলোভেরা উদ্ভিদটি একটি "ডেসার্ট প্ল্যান্ট" এর জন্য শুকনো মাটি উপযুক্ত। লক্ষ্য রাখতে হবে, মাটিতে যেন এয়ার পকেট থাকে। বাগান বা উঠানের মাটির সঙ্গে অল্প কিছু বালি, কোকোপিট সারের মিশ্রণে এই মাটিগুলি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করে নিতে হবে। মাটিগুলো অনেক ভালোভাবে আলগা করে নিতে হবে যেন শিখরগুলি বের হওয়ার সময় ভালোভাবে মাটির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে এবং ভালোভাবে বৃদ্ধি হতে পারে।

যেহেতু এই গাছের মধ্যে বা এর পাতার মধ্যে পাল্প জাতীয় পদার্থ থেকে থাকে আর এই পাল্প এর মধ্যে পানির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। আর তাই এই গাছে অতিরিক্ত পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয় না। সাধারণত সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার পানি দিলেই যথেষ্ট।

এই গাছের কিছু কিছু ক্ষেত্রে কীটনাশক বা সার ব্যবহার করতে হয়। তাই সাধারণত বছরে ১ বার ফসফরাস যুক্ত পানিকে সার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।

অ্যালোভেরা গাছের ফুল কী রকম হয়ে থাকে

অ্যালোভেরা গাছের ফুল কি রকম হয় তাহলে আসলে অনেকেই জানে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি যে এই গাছের ফুল কি রকম হয়ে থাকে। আসুন তা জেনে নেওয়া যাক-

এলোভেরা উদ্ভিদ বা গাছ সাধারণত হলুদ বা কমলা রঙের ফুল ফোটায়। যেটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ফুলগুলো সাধারণত ছোট এবং নলাকার হয়ে থাকে। এবং এর গায়ে কাঁটা যুক্ত থাকে। ফুলগুলোর কাজ বীজ উৎপাদন করা। অ্যালোভেরার বীজ ছোট, কালো এবং চকচকে হয়ে থাকে। বীজগুলো বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে নতুন উদ্ভিদ তৈরি করতে সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার

অ্যালোভেরা উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার কিভাবে করবেন তাই হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা অ্যালোভেরা উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার সম্বন্ধে জানব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-

অ্যালভেরা গাছের পাতার রস ঔষধি গুনে ভরপুর। এর পাতা দিয়ে অনেক ধরনের ঔষধ তৈরি করা হয়ে থাকে। যা মানুষের অনেক ভিটামিন প্রদান করতে সক্ষম হয়ে থাকে। এটি ত্বক উজ্জ্বল, কাটা এবং পোড়া ভালো করতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই পাতা হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এটি খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক ও চুল মসৃণ ও কোমল হয়ে থাকে।

অ্যালোভেরা গাছের রোগ নির্ণয় এবং প্রতিরো পদ্ধতি

অ্যালোভেরা গাছের প্রধান রোগ হলো পাতার মাথা শুকিয়ে যাওয়া এবং পাতার গায়ে দাগ বা স্পট তৈরি হওয়া। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করার ৫ টিপস তুলে ধরা হলো। তা হলো-

  • টবে গাছ লাগানোর সময় টবে যেন পানি নিষ্কাশন পদ্ধতি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং টবের মাটির সঙ্গে ৩০% বালি মিশ্রিত করতে হবে।
  • টবে পানি দেওয়ার সময় একটা জিনিস লক্ষ্য রাখা উচিত যে, টবের মাটি যেন ভেজা বা সেত সাথে না থাকে। ভেজা মাটি অতিরিক্ত পরিমাণে ছত্রাক তৈরি করে এবং সে ছত্রাকগুলো গাছে ছড়িয়ে পড়ে তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যে তবে যেন ভেজা মাটি বা সেথ সাথে মাটি না থাকে।
  • গাছে যদি সাদা ফোঁটা ফোঁটা রোগ দেখা দেয় তাহলে সর্বপ্রথম তবে আগাছা গুলো মুক্ত করে মাটি আলগা করে দিতে হবে। এবং ডিমের খোসা রোধে শুকিয়ে সুন্দর করে গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে। তাহলে আশা করা যায় এই রোগ প্রতিকার হয়ে যাবে।
  • পাতার উপরে যদি বেশি কালো দাগ দেখা যায় তাহলে ১ লিটার পানিতে আধা চামুচ চুন মিশিয়ে গাছে হ্যান্ড স্প্রে মাধ্যমে স্প্রে করে দিতে হবে। তাহলে এই কালো দাগ আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে "ইনশাআল্লাহ"।
  • যে ছত্রাক এই কালো দাগ সৃষ্টি করে তা আকাশের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই সূর্যের আলো যেখানে দিনে ২ থেকে ৪ ঘন্টা থাকে সেখানে এই গাছের টব রাখা ভালো।
এ সকল কাজের মাধ্যমেই অ্যালোভেরা গাছের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বাসা বা বাড়িতে বসেই সহজ পদ্ধতিতে।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমরা এই আর্টিকেলটি লেখার মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি যে,অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ টবে বাসা-বাড়িতে লাগানোর উপায় এবং এর চাষ পদ্ধতি, অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ হওয়ার পদ্ধতি, অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা, অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় হওয়ার উপায়, এবং অ্যালোভেরা গাছের রোগ নির্ণয় প্রতিকার ইত্যাদি সম্পর্কে।

যদি আমাদের এই লেখা পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে এই পোস্টটি বা আর্টিকেলটি অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিন। যেন তারা এই আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হতে পারে.

"আসসালামু আলাইকুম"
""ধন্যবাদ""

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পয়েন্টার ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url