চিতা বাঘ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং এদের বর্ণনা, বাসস্থান ইত্যাদি।
"আসসালামু আলাইকুম" চিতা বাঘ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং এদের বর্ণনা,বাসস্থান
ইত্যাদি সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে
আপনি জানতে পারবেন পৃথিবীর এই দ্রুতগামী প্রাণীটির বৈশিষ্ট্য এবং এরা কেন বিলুপ্ত
হচ্ছে। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেয়া যাক।
আপনি হয়তোবা জানেন না যে, পৃথিবী থেকে এই দ্রুতগামী প্রাণীটি কেন বিলুপ্ত হয়ে
যাচ্ছে, এবং এর কারণ কী? এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার পরে আপনি জানতে পারবেন
যে, পৃথিবী থেকে কেন এই দ্রুতগামী প্রাণীটি আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
"চিতা" যে কিনা তার গতির জন্য পুরো পৃথিবীতে খুবই জনপ্রিয় এবং বিক্ষ্যাত। প্রাণি
জগতের হোসাইন বোল্ড খ্যাত এই প্রাণিটি পৃথিবীর সব চেয়ে গতি সম্পূর্ণ প্রাণী।
চিতাকে যদি দৌড়ানোর সময় দেখেতে পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে পারা যাবে যে আসলে এই
প্রাণিটি বাতাসের থেকেও দ্রুত গতিতে দৌড়াতে পারে।আসলে চিতার মধ্যে এমন কি
ফিউচার্স রয়েছে যার মাধ্যমে চিতা এত দ্রুত গতিতে দৌড়াতে পারে। আসুন জেনে নেয়া
জাক।
সূচিপত্র: চিতা বাঘ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং এদের বর্ণনা, বাসস্থান ইত্যাদি।
- চিতার বাসস্থান সবচেয়ে বেশি কোথায়
- চিতার খাদ্য কি এবং এরা কি খেয়ে বেঁচে থাকে
- চিতা কোন প্রজাতির প্রাণী এবং এরা কোন প্রজাতি থেকে এসেছে
- চিতার দৌড় এর সাধারণ এবং গড় গতিবেগ কত হয়ে থাকে
- চিতার আকার কী রকম এবং এদের গড় ওজন কত
- চিতার দৌড়ের সময় মাথা এবং লেজের গুরুত্ব কতটুকু
- চিতার দৌড়ের সময় সামনের দুই পায়ের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু
- চিতা কত ফুট পর্যন্ত লাভ দিতে পারে
- চিতা দৌড়ের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কী চিতার কোন সমস্যা হয়ে থাকে
- চিতার বিলুপ্তির কারণ কী এবং এরা কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে
- আদি যুগের বা আগেকার চিতাগুল কেমন হতো এবং তারা কত ফুট লম্বা হতো
- পরিশেষে আমাদের করণীয়
চিতার বাসস্থান সবচেয়ে বেশি কোথায়
বুলেট এর মতো স্পিডে দৌড়াতে পাড়া এই প্রাণীটাকে আফ্রিকাতে সবচেয়ে বেশি
দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইরানেও কিছু কিছু সংখ্যক চিতাকে দেখতে পাওয়া যায়।
কিন্তু এশিয়ান চিতাদের তুলনায় আফ্রিকান চিতা গুলো বেশ অনেকটাই বড় হয়ে
থাকে। এই শিকারি প্রাণীটি সব সময় গ্রুপে বসবাস করতে পছন্দ করে এবং এদের
গ্রুপের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ সদস্যদের দেখতে পাওয়া যায়। চিতার
একটি গ্রুপের মধ্যে সর্বোচ্চ 5 থেকে 7 টি সদস্য থাকতে পারে যারা কিনা একে
অপরের রক্তের সঙ্গে জরিয়ে আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এদের একা বসবাস করতে
দেখতে পাওয়া যায়, বিশেষ করে মা চিতা গুলো তাদের সন্তানকে লালন পালন করার
জন্য একা বসবাস করতে পছন্দ করে। এরা খুবই সামাজিক প্রাণী এরা নিজেকে এবং
পরিবার কে সুরক্ষিত রাখার জন্য সর্বদাই সচেতন থাকে।
চিতার খাদ্য কি এবং এরা কি খেয়ে বেঁচে থাকে
এরা দিনে তাদের শিকারের উপর আক্রমণ করে এবং এরা দিনে স্বীকার করতে পছন্দ করে।
এই শিকারি প্রাণীটির আকার কিছুটা ছোট হওয়ার কারণে এরা খরগোশের মত ছোট
প্রাণীদেরকে শিকার করতে পছন্দ করে। কিন্তু তার মানে এটা একদম না যে
চিতা বড় প্রাণীদের দেখেলে ভয় করে বা স্বীকার করতে ভয় পায়, উপযুক্ত
সময় বুঝে এরা বন্য গরু, হরিণ, জেব্রা ইত্যাদি বড় প্রাণীদেরকে শিকার করা
ক্ষমতা রাখে। এরা যখন স্বীকার করে তখন তাদের শিকারটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে
খেয়ে ফেলতে হয়।কারণ ঈগল, হায়না, সিংহ এমনকি শকুনের মতো প্রাণীরাও চিতাদের
খাবার ছিনিয়ে নিয়ে সব সময় নিজেদের খাবার বানিয়ে নেই। যদিও চিতাল
গতিসম্পন্ন কিন্তু এদের কাছে কতটা ক্ষমতা থাকে না যার মাধ্যমে এই প্রাণীগুলোর
সঙ্গে তারা লড়াই করে পারবে। এর মাধ্যমে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে কোন কোন সময়
তারা কষ্ট করে স্বীকার করার পরেও এদের খাবার টিকে অন্য প্রাণীরা ছিনিয়ে
নেয়।
চিতা কোন প্রজাতির প্রাণী এবং এরা কোন প্রজাতি থেকে এসেছে
আপনারা জেনে থাকবেন যে চিতা বিড়াল প্রজাতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং এই
প্রাণীটি বাঘ ও সিংহের মতো ভয়ঙ্কর শিকারি প্রাণী। তবে বাঘ এবং সিংহের
তুলনায় একদিক থেকে খুব দুর্বল মনে করা হয় কারণ তারা বাঘ এবং সিংহের মতো
গর্জন করতে পারে না বরং এদের আওয়াজ বিড়ালের মত হয়ে থাকে। এই থেকে এটা বোঝা
যাচ্ছে যে চিতা শিকার করতে গেলে তার গর্জন এর মাধ্যমে শিকারকে ভয় দেখাতে পারে
না। তাছাড়াও চিতার গর্জনে অন্য কোন প্রাণী ভয় পায় না।
চিতার দৌড় এর সাধারণ এবং গড় গতিবেগ কত হয়ে থাকে
চিতার গতিকে জঙ্গলে থাকা সকল প্রাণীরাই ভয় পায়। শুকর এবং হরিণের মতো
প্রাণীরা যারা কি না নিজেদের গতির মাধ্যমে যদিও অন্য প্রাণীদের কাছ থেকে
নিজেদেরকে বাঁচিয়ে নেয় কিন্তু চিতার গতির সামনে এই গতিকে খুবই তুচ্ছ মনে
হয়। জঙ্গলের দুনিয়ায় প্যারাগিন ফ্যালক্যানকে পৃথিবীর সবচেয়ে গতি সম্পূর্ণ
পাখি বলা হয় যার গতি আকাশ থেকে মাটিতে নামার সময় প্রতি ঘন্টায় প্রায় 400
কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কিন্তু জমিনে থাকা প্রাণীগুলোর মধ্যে চিতার
গতির সামনে কোন প্রাণীর গতির তুলনায় হয় না। একটি স্টাডির মাধ্যমে জানা যায়
চিতার ম্যাক্সিমাম স্প্রিড হলো প্রতি ঘন্টায় প্রায় 110 কিলোমিটার যেটি কিনা
সত্যি অনেক প্রশংসনীয়।
জদি কথা বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গতিসম্পন্ন মানুষের তাহলে হোসাইন বোল্ড যে
কিনা প্রতি ঘন্টায় 66 কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে।
এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে চিতা মানুষের থেকেও কত দ্রুত গতিতে দৌড়াতে পারে।
যদিও চিতা সব সময় তার এই গতিকে ব্যবহার করে না। কিন্তু চিতার গড় গতি প্রতি
ঘন্টায় 68 কিলোমিটার পার আওয়ার মনে করা হয়। শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে
চিতা তার সুপার স্পিড ব্যবহার কোরে শিকারের উপরে আক্রমণ করে থাকে এবং এদের
বর্ণনা বাসস্থান প্রজাতি প্রজাতি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা। শুনে অবাক হবেন যে
3 সেকেন্ডের মধ্যে চিতা তার গতিকে শূন্য থেকে 100 কিলোমিটারে তুলে ফেলতে
পারে। এর মাধ্যমে বুঝতে পারা যাচ্ছে যে চিতাকে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতিশিল
প্রাণী বলা হয়ে থাকে।
তবে দুঃখজনক বিষয়টা হলো চিতা তার এই গতিটা কে বেশি সময় ধরে রাখতে পারে না।
একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো যে চিতার এই গতিটা কে বেশিক্ষণ ধরে রাখার কোন
প্রয়োজন হয় না। কারণ চোখের পলক পড়ার আগেই চিতা তার শিকারটিকে ধরে ফেলে বা
হাসিল করে নেয়।
প্রথমত চিতার শারীরিক গঠন তাকে দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর জন্য সবচেয়ে বড় কাজটি
করে থাকে। চিতার শারীরিক আকারের তুলনায় এর ওজন অনেকটাই কম হয় ।এক কথায় বলতে
গেলে এর শরীরটা খুবই হালকা হয়। যার মাধ্যমে চিতা খুব সহজেই দৌড়াতে পারে।
চিতার আকার কী রকম এবং এদের গড় ওজন কত
চিতা সর্বোচ্চ 03.2 ফুট পর্যন্ত হতে পারে যেটি কিনা প্রায় সিংহের সময়। যদি
এদের ওজনের তুলনা করা হয় তাহলে সিংহের তুলনায় এদের ওজন চার ভাগের এক ভাগ।
এর মানে একটি সিংহের ওজন 250 কেজি বা ( 441 থেকে 552 পাউন্ড ) হয়ে থাকে
অন্যদিকে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক চিতার ওজন সর্বোচ্চ 72 থেকে 73 কেজি বা (158.7
থেকে 160.9 পাউন্ড ) হয়ে থাকে। নয়তোবা স্বাভাবিক অবস্থায় এদের ওজন
সর্বোচ্চ 57 থেকে 58 কেজি বা ( 115 থেকে 118 পাউন্ড ) হয়ে থাকে। এরা অন্য
সকল প্রাণীদের তুলনায় হালকা হওয়ার কারণে এদের গতি অন্যান্য সকল প্রাণীদের
থেকে অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে।
চিতার দৌড়ের সময় মাথা এবং লেজের গুরুত্ব কতটুকু
এদের মাথা এবং লেজ শিকারকে ধরতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এদের
মাথার সামনের দিকটা সমান হয় এবং কপালটা কিছুটা উপরের দিকে থাকে যার মাধ্যমে
কিন্তু এরা দৌড়ানোর সময় নিজেদের মাথাকে স্থির করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
তাছাড়াও এদের মেরুদন্ডের হাড় এমন ভাবেই তৈরি করা আছে যার মাধ্যমে এরা দ্রুত
গতিতে দৌড়ানো সময় হঠাৎ করেই নিজেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আবার উল্টোদিকে দৌড়াতে
পারে বা শিকারকে ধাওয়া করতে পারে। এবং চিতার লেজটি তার ব্যালেন্স রক্ষা করার
সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি পালন করেন। কারণ এরা দৌড়ানোর সময় এদের লেজটিকে
স্থিরভাবে রেখে দৌড়ায় । কারণ এদের লেজটি এদের ব্যালেন্স ধরে রাখতে
অকৃতকার্য ভূমিকা পালন করে। যেন এরা দৌড়ানোর সময় বা শিকারকে ধরার সময়
ব্যালেন্স হারিয়ে মাটিতে পড়ে না যায়।
চিতার দৌড়ের সময় সামনের দুই পায়ের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু
আসলে চিতার সোল্ডার গুলো মেরুদন্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। যার মাধ্যমে চিতা
সামনের পা গুলোকে অনেকটা লম্বা করে লাভ দিতে পারে বা ফেলতে পারে। এবং পিছনের
শরীরটাকে খুব তাড়াতাড়ি সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে এই
প্রসেসের মাধ্যমে চিতা অনেকটা লম্বা ঝাপ দিতে পারে।
চিতা কত ফুট পর্যন্ত লাভ দিতে পারে
এই প্রাণীটির এত দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণটি মনে করা হয়
চিতার লাফ দেওয়ার ক্ষমতা। এই প্রাণীটি এক লাফে প্রায় 20 ফুট পর্যন্ত যেতে
পারে। তবে আশ্চর্য জনক ব্যাপারটি হলো চিতা দৌড়ানোর সময় মাটিতে কম বাতাসেই
বেশি থাকে।শুধুমাত্র এইটাই বুঝে নিন তারা দৌড়ায় না শুধুমাত্র বাতাসে সাঁতার
কেটে বেড়াই। তাছাড়াও চিতার মেরুদন্ডের হাড়গুলো এমন ভাবে তৈরি করা আছে যেটা
কিনা একদম স্প্রিংয়ের মতো কাজ করে। চিতার মেরুদন্ডের হাড় গুলো স্প্রিংয়ের
মতো কাজ করার কারণে চিতা দৌড়ানোর সময় একটু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে।
চিতা দৌড়ের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কী চিতার কোন সমস্যা হয়ে থাকে
চিতার নাকের ছিদ্র অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় বেশ অনেকটাই মোটা হয়ে থাকে।
যার মাধ্যমে দৌড়ানোর সময় চিতা খুব সহজেই এবং ভালোভাবেই নিঃশ্বাস নিতে সক্ষম
হয় বা পারে। এর থেকেও অবাক করা বিষয় হলো এরা এক মিনিটে 60 থেকে 65 বার
শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে যা খুবই আশ্চর্যজনক বিষয়।
চিতার বিলুপ্তির কারণ কী এবং এরা কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে
চিতার বাচ্চাদের জীবন খুবই মুশকিল এবং চিতার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে
বড় কারণ মনে করা হয় চিতার বাচ্চাদের অকালেই মৃত্যু। আফ্রিকায় 1980 শতকের
একটি গবেষণাযর মাধ্যমে জানা যায় চিতার 95 শতাংশ বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার
আগেই মৃত্যুবরণ করে। এর মানে 100 টি বাচ্চার মধ্যে শুধুমাত্র 5 টি বাচ্চাই
প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে। তবে 2013 সালের একটি রিসার্চের মাধ্যমে জানা যায়
চিতার বাচ্চাদের থাকার সম্ভাবনা 36% পর্যন্ত হতে পারে। এদের বাচ্চাদের
মৃত্যুবরণ করার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো শিকারি প্রাণীদের এর মধ্যে
অন্যতম হলো সিংহ, হায়ন এবং ঈগলের মত ভয়ঙ্কর পাখি। এই সকল শিকারি প্রাণী এবং
পাখিদের জন্য এদের জনসংখ্যা পৃথিবী থেকে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এবং
এদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ মনে করা হয় মানুষদেরকে।
অতিরিক্ত গাছপালা কাটার কারণে চিতার ঘর এবং বসবাস করার স্থান সম্পূর্ণভাবে
হারিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে এদের জীবিত থাকা এবং
সার্ভাইভ করা মুশকিল হয়ে পড়ছে। এর থেকেও দুঃখজনক বিষয় হলো চিতার চামড়ার
জন্য কিছু কিছু অসাধু মানুষেরা এই প্রাণীটিকে শিকার করে। তবে আরব দেশের ধনীরা
চিতার বাচ্চাকে লালন পালন করার জন্য কিনে থাকে। একটি চিতার বাচ্চার দাম 10000
ডলার যেটা কিনা বাংলাদেশি টাকায় 84 লক্ষ্য টাকা যেটি কিনা চিতার বিলুপ্ত
হয়ে যাওয়ার পিছনে একটি বড় কারণ মনে করা হয়।
যেমনটি আমরা প্রথমে বলেছিলাম এদেরকে আফ্রিকা এবং ইরানের বেশ কিছু অঞ্চলে
দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু অতীতে এই প্রাণীটিকে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বেশ কিছু
অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যেত। তবে অতীতের তুলনায় বর্তমানে এদের জনসংখ্যা 20% ওই
বেঁচে আছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে আগামী 10 বছরের মধ্যে চিতাদের জনসংখ্যা আরো 10% কমে
যাবে। যা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক কারণ।
আদি যুগের বা আগেকার চিতাগুল কেমন হতো এবং তারা কত ফুট লম্বা হতো
একটা সময় এমন ছিল যখন এমন এক প্রজাতির চিতাকে দেখা যেত যে কিনা বর্তমান
চিতার তুলনায় প্রায় 2 গুন বড় হতো। এবং এদেরকে সবচেয়ে বেশি এশিয়াতে দেখতে
পাওয়া যেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
বর্তমান পৃথিবীতে যে চিতা গুলো বেঁচে আছে এরা সকলেই কিন্তু বিলুপ্তির পথে।
যদি এদেরকে ভালোভাবে দেখাশোনা এবং শিকার করা বন্ধ না করা হয় তাহলে এমন একটা
সময় আসতে পারে যখন পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির এই প্রাণীটা পৃথিবী থেকে
সম্পূর্ণভাবেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং ইতিহাসের পাতায় পৃথিবীর সবচেয়ে
দ্রুতগতির এই প্রাণীটির নাম লেখা থাকবে।
পরিশেষে আমাদের করণীয়
পরিশেষে এর মাধ্যমে এটাই বুঝতে পারা যায় যে আমরা যদি এদের দেখাশোনা এবং
শিকার করা বন্ধ করতে না পারি তাহলে আমরা অতি শীঘ্রই এই দ্রুতগামী
প্রাণীটিকে হারাবো। যা আমাদের জন্য মোটেও ভালো বিষয় না। তাই আমাদের সবাইকে
এগিয়ে আসতে হবে এবং এই দ্রুতগামী প্রাণীটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা
করার জন্য।
পয়েন্টার ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url